সূর্যাস্ত, সূর্যোদয়ের সময়সহ নামাজের নিষিদ্ধ ও মাকরুহ সময়েও তাওয়াফ করা জায়েজ। তাই আসরের পর বা সূর্যাস্তের সময় তাওয়াফ করতে সমস্যা নেই। তবে সূর্যাস্তের সময় বা এর আগের মাকরুহ সময় তাওয়াফ করলেও তাওয়াফ পরবর্তী দুই রাকাত নামাজ আদায় করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে তাওয়াফের নামাজ মাগরিবের ফরজ আদায়ের পর সুন্নতের আগে পড়ে নিতে হবে। নামাজের মাকরুহ ও নিষিদ্ধ সময় থেকে বাঁচার জন্য তাওয়াফের নামাজে কিছুটা বিলম্ব করা যেতে পারে।
Advertisement
আতা (রহ.) থেকে বর্ণিত ওমর (রা.) একদিন ফজরের পর তাওয়াফ করে যুতুয়া নামক স্থানে চলে যান। সূর্য উদিত হয়ে ওপরে উঠে যাওয়ার পর তিনি তাওয়াফের দুরাকাত নামাজ পড়েন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ১৩৪২৬)
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বলেন, ফজর বা আসরের পর তাওয়াফ করতে পারো তবে নামাজ পরে পড়বে। সূর্য অস্ত যাওয়া বা উদিত হওয়ার পর প্রত্যেক তাওয়াফের জন্য দুরাকাত করে পড়ে নেবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ১৩৪২৪)
ভুল করে মাকরুহ সময়ে তাওয়াফের নামাজ শুরু করলে ভুলের কথা স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে নামাজ ছেড়ে দিতে হবে। অবশ্য কেউ যদি মকরুহ সময়ে দুই রাকাত নামাজ পড়ে ফেলে, তাহলে নামাজ হয়ে যাবে, তবে তা পুনরায় আদায় করা উত্তম। আর নিষিদ্ধ সময় যেমন সূর্যাস্ত বা সূর্যোদয়ের সময় তাওয়াফের নামাজ আদায় করলে তা শুদ্ধ হবে না, বরং পুনরায় আদায় করা জরুরি।
Advertisement
হারামের সীমার বাইরে তাওয়াফের নামাজ পড়া মাকরুহ; কিন্তু কেউ পড়লে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে।
ওএফএফ/এমএস