জাতীয়

মৎস্যজীবীরা আইন ভঙ্গ করে না, জাটকা ধরে দুষ্ট ব্যবসায়ীরা

মৎস্যজীবীরা আইন ভঙ্গ করে না, জাটকা ধরে দুষ্ট ব্যবসায়ীরা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, যারা সত্যিকারের মৎস্যজীবী তারা আইন ভঙ্গ করে না, জাটকা ধরে না। জাটকা ধরে দুষ্ট ব্যবসায়ীরা। যারা দাদন দিয়ে ব্যবসা করে, জেলেদের আটক করে রাখে- তারাই মূলত দুষ্ট ব্যবসায়ী।

Advertisement

রোববার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দয়ালভরসা মৎস্য বাজারে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার কিছু কাজ করে যেতে চায়। যেখানে মানুষ বৈষম্যের শিকার, অবিচারের শিকার, যেখানে মানুষ কষ্টে আছে- সেখানেই বর্তমান সরকার মানুষের দুঃখ লাঘবে চেষ্টা করে যাচ্ছে।

দেশের জন্য মাছের আড়তদারদের অবদানের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, যাত্রাবাড়ীতে একটি কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্যসম্মত বাজার তৈরি করা হবে, যেখানে আলাদা আলাদা করে থাকবে সবকিছু। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় যাত্রাবাড়ীতে স্বাস্থ্যসম্মত বাজার তৈরি করা হবে।

Advertisement

আরও পড়ুনবাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলে ভারতের লাভ না ক্ষতি? প্রশাসনের নিরাপত্তায় মঞ্চস্থ হচ্ছে ‘শেষের কবিতা’ 

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে বাজারে আড়তদারসহ মৎস্য ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তাহীনতা দূর করা হবে। তবে দয়া করে মাছের দাম অহেতুক বাড়াবেন না। অনেকেই জাটকাকে ইলিশ মনে করে, আবার যারা হিমায়িত ইলিশ সরবারহ করছে তারা মানুষকে ভুল বার্তা দিচ্ছে। পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়। এসময় কোনো ইলিশ সরবারহ করা হবে না, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

ফরিদা আখতার বলেন, জুনের পর এই জাটকা যখন ইলিশে পরিণত হবে তখন তা বাজারে আসবে। বাংলাদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ খেটে খাওয়া মানুষ হয়তোবা ইলিশ মাছ কিনে খেতে পারে না। তাহলে ইলিশ মাছ যেন আমরা কিনে খেতে পারি সে কাজটিই আমাদের করতে হবে। জুনের পর ইলিশ যেন ক্রয়সীমার মধ্যে থাকতে পারে সে লক্ষ্যে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

এসময় উপদেষ্টা আড়তদারদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিজ্ঞা করেন জাটকা ধরবেন না এবং জুনের পর ইলিশের দাম অহেতুক বাড়াবেন না।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ। স্বাগত বক্তব্য দেন মৎস্য অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম। আরও বক্তব্য দেন- মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাসুদা খানম, উপ-পরিচালক সাজদার হোসেন, ঢাকা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আয়েশা সিদ্দিকা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বদানকরীদের পক্ষে মো. ফেরদৌস, দয়াল ভরসা মৎস্য আড়তের সভাপতি দিব্যেন্দু রায় ভুলু, সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন প্রমুখ।

Advertisement

এনএইচ/কেএসআর