চলচ্চিত্র নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় প্রাচীনতম আয়োজন মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল উৎসবটির ৪৭তম আসর। গেল বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে পর্দা নেমেছে আসরের। ৯০ বছরের ঐতিহ্যের এই উৎসবে সেরা ছবির পুরস্কার জয় করে চমক দেখিয়েছে ভারতের আঞ্চলিক খাসি ভাষার চলচ্চিত্র ‘দ্য ইলিসিয়ান ফিল্ড’।
Advertisement
ছবিটি সেরা চলচ্চিত্র, সেরা নির্মাতা এবং সেরা এশীয় চলচ্চিত্রের জন্য নেটপ্যাক (NETPAC) পুরস্কার- মোট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি ছিনিয়ে নিয়েছে। এই সাফল্য ভারতের আঞ্চলিক চলচ্চিত্রের জন্য এক গর্বের মুহূর্ত। সেইসঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খাসি ভাষার স্বীকৃতিরও এক ঐতিহাসিক সাফল্য।
খাসি ভাষার এই ছবিটি উৎসবের সর্বোচ্চ সম্মান ‘গোল্ডেন সেন্ট জর্জ’ এবং ‘সিলভার সেন্ট জর্জ’ পুরস্কার অর্জন করেছে। ‘সেরা নির্মাতা’ বিভাগেও পুরস্কার জিতেছেন এই ছবির পরিচালক প্রদীপ কুরবাহ।
‘দ্য ইলিসিয়ান ফিল্ড’ গ্রামীণ নিঃসঙ্গতা, মানবিক সম্পর্ক এবং টিকে থাকার সংগ্রামের গল্প তুলে ধরেছে।
Advertisement
এবারের আসরে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন ইয়েভগেনি সিগানোভ। তিনি রাশিয়ার ‘ফ্যামিলি হ্যাপিনেস’ সিনেমায় অনবদ্য অভিনয়ের জন্য এ স্বীকৃতি পান। অন্যদিকে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন মারিয়া রদ্রিগেজ সোটো, স্পেনের ‘আ হাউজ অন ফায়ার’ সিনেমায় দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য।
বিশেষ জুরি পুরস্কার হিসেবে সিলভার সেন্ট জর্জ অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে কাজাখস্তানের ছবি ‘ইভাকুয়েশন’, পরিচালনা করেছেন ফারখাত শরিপভ। সেরা ডকুমেন্টারি নির্বাচিত হয়েছে চীনের ছবি ‘মিস হুস গারডেন’, যেটির পরিচালক পান ঝিকি। উৎসবের সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতেছে স্পেনের ‘বামব্লিবি’, পরিচালনা করেছেন ফন কোর্তিজো। রাশিয়ান প্রিমিয়ার বিভাগে সেরা চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে ‘লাইসেন্স টু লাভ’, পরিচালনা করেছেন আন্তন মাসলোভ। অডিয়েন্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ‘টু পিওপল ইন ওয়ান লাইফ অ্যান্ড আ ডগ’, নির্মাণ করেছেন আন্দ্রে জায়তসেভ।
বিশ্ব সিনেমায় অসামান্য অবদানের জন্য উৎসবে বিশেষ সম্মাননা পেয়েছেন রাশিয়ার কিংবদন্তী অভিনেতা ভ্লাদিমির ইলিন। আর স্টানিস্লাভস্কি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন রাশিয়ারই ভ্লাদিমির মাশকভ।
বাংলাদেশের গর্বএবারের উৎসবে মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশের ছবি ‘মাস্তুল’। ছবিটি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেডারেশন থেকে বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছে। এছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বাংলাদেশের আরেক চলচ্চিত্র ‘নয়া ঠিকানা’।
Advertisement
এলআইএ/এমএস