রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি কক্ষে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ২০ মিনিট দেরিতে প্রশ্নপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা শেষে বেরিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকদের কাছে বিষয়টি জানায়। পরে অভিভাবকরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে ওই শিক্ষক অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ নিয়ে কেন্দ্রে হট্টগোল শুরু হয়।
Advertisement
পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের ৩০০৩ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থীদের বাংলা প্রথমপত্রের লিখিত অংশের প্রশ্নপত্র ২০ মিনিট দেরিতে দেওয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষার নির্ধারিত সময় পর খাতা কেড়ে নেওয়া হয়। এতে তারা লিখিত পরীক্ষা দিতে ২০ মিনিট কম সময় পেয়েছে। এ ঘটনায় তারা ইলিয়াস হোসেন নামে একজন শিক্ষককে দায়ী করছেন।
জামাল উদ্দিন নামে একজন অভিভাবক বলেন, ৩০০৩ নম্বর কক্ষে সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। এটি ইংরেজি ভার্সনের পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র। প্রথমে তাদের এমসিকিউ অংশের পরীক্ষা হয়। এরপর তাদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘আমার সন্তান পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে কেঁদে ফেলেছে। ও বলছে, বাবা আমাদের এমসিকিউ পরীক্ষার উত্তরপত্র জমা নেওয়ার পর দুই স্কুলের উত্তরপত্র গুলিয়ে ফেলেছেন শিক্ষকরা। সেগুলো আলাদা করতে গিয়ে ২০ মিনিট দেরিতে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দিয়েছে। ও সব লিখতে পারেনি।’
Advertisement
আমিরুল ইসলাম নামে আরেক অভিভাবক বলেন, ৪২ জন শিক্ষার্থী ওই কক্ষে ছিল। সবাই কি মিথ্যা বলছে? অথচ অভিযুক্ত শিক্ষক বিষয়টি অস্বীকার করছেন। আমরা চাই, যে ৪২ জন দেরিতে প্রশ্নপত্র পেয়েছে, তাদের আবারও ২০ মিনিট পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন শেষ হলো এসএসসির প্রথমদিনের পরীক্ষা, প্রশ্ন নিয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা প্রশ্নফাঁসের সব উৎসে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা ভিন্ন পরিবেশে শুরু এসএসসি পরীক্ষা, আশাবাদী অভিভাবকরা এসএসসির কেন্দ্র পরিদর্শনে হঠাৎ মতিঝিল বয়েজ স্কুলে শিক্ষা উপদেষ্টাএদিকে, ঘটনাস্থলে হট্টগোল শুরু হলে পুলিশ অভিভাবকদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। এসময় অভিভাবকরা পুলিশের সঙ্গেও বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। কেন্দ্রে দায়িত্বরত এসআই নরোত্তম অভিভাবকদের বলেন, প্রতিটি কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। সিসিটিভি দেখে কেন্দ্রসচিব বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।
তবে পুলিশ কর্মকর্তার কথায় আস্থা রাখতে পারছেন না অভিভাবকরা। তারা ইলিয়াস নামে ওই শিক্ষকের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার এবং কেন্দ্রসচিবকে বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। দুপুর ২টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময়েও সেখানে অভিভাবকরা অবস্থান করছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে কেন্দ্রসচিব ও অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। তবে স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, কিছুক্ষণ পর পুরো বিষয়টি জেনে তারা এ নিয়ে ব্যাখ্যা দেবেন।
Advertisement
জানতে চাইলে ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। কেউ অভিযোগ করলে বা কেন্দ্রসচিব লিখিতভাবে জানালে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএএইচ/বিএ/এএসএম