জাতীয়

জড়িত ব্যক্তি-সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা যাবে

জড়িত ব্যক্তি-সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা যাবে

সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত এমন ব্যক্তি ও সংগঠনের (সত্তা) কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিধান রেখে ‘সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার।

Advertisement

রোববার (১১ মে) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সরকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি বা সত্তার (সংগঠন) কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে পারবে।

আগের আইন অনুযায়ী, সরকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কোন ব্যক্তিকে গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে তফসিলে তালিকাভূক্ত বা সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভূক্ত করতে পারত।

Advertisement

সংশোধিত অধ্যাদেশে নিষিদ্ধ সংগঠনের অনলাইনে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

ব্যক্তি-সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান রেখে অধ্যাদেশ অনুমোদন  ট্রাইব্যুনাল রাজনৈতিক দল-অঙ্গসংগঠনকে শাস্তি দিতে পারবে  বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ 

অধ্যাদেশের ২০(১)(ঙ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘উক্ত সত্তা কর্তৃক বা উহার পক্ষে বা সমর্থনে যে কোন প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা বা মুদ্রণ কিংবা গণমাধ্যম, অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য যে কোন মাধ্যমে যে কোন ধরনের প্রচারণা, অথবা মিছিল, সভা-সমাবেশ বা সংবাদ সম্মেলন আয়োজন বা জনসম্মুখে বক্তৃতা প্রদান নিষিদ্ধ করিবে।’

আগের আইনে অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য যে কোন মাধ্যমে যে কোন ধরনের প্রচারণা নিষিদ্ধ করার বিষয়টি ছিল না।

Advertisement

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) সমমনা দলগুলো। আন্দোলনের মুখে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে গত শনিবার (১০ মে) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের নেতাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত অনলাইনেসহ দলটির সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হয় বৈঠকে। ওই দিন রাতেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল অধ্যাদেশ জারি করা হয়।

পরের দিন রোববারও উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক বসে। সেখানে সংশোধিত সন্ত্রাস বিরোধী অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

এখন রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ এবং অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের সব ধরনের প্রচারণা বন্ধে যে কোন সময় প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানা গেছে।

আরএমএম/এসএনআর/এএসএম