বাড়ছে দেশের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ। ব্যাংকের প্রতি আস্থা কমছে মানুষের। আমানতেও টান পড়ছে। এমন সব সমালোচনার মধ্যেও ২০২৪ সালের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৪টি ব্যাংক।
Advertisement
ব্যাংকগুলোর মধ্যে সাতটি ব্যাংকের লভ্যাংশের হার আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে চারটির। তিনটির অপরিবর্তিত। এ হিসাবে লভ্যাংশ ঘোষণা করা অর্ধেক ব্যাংকের লভ্যাংশ আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোর ঘোষণা করা লভ্যাংশকে সন্তোষজনক এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য আশাব্যঞ্জক বলে অভিমত দিচ্ছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। তরা বলছেন, এখন পর্যন্ত তালিকাভুক্ত যে কয়টি ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে তা বেশ সন্তোষজনক। ব্যাংকগুলোর ডিভিডেন্ট ইল্ড খুবই ভালো। লভ্যাংশ বিবেচনায় কিছু ব্যাংকের শেয়ার বিনিয়োগের জন্য খুবই উপযুক্ত।
তারা বলছেন, ব্যাংকগুলো ভালো লভ্যাংশ দিলেও সার্বিক ব্যাংকখাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থা কমেছে। ব্যাংকের প্রতি আস্থা বাড়ানোর জন্য ব্যাংকের খেলাপি ঋণ কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। কীভাবে খেলাপি ঋণ কমানো যায়, সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। খেলাপি ঋণ কমানো গেলে ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থাও বাড়বে।
Advertisement
ব্যাংকগুলোর ঘোষণা করা লভ্যাংশের চিত্র বেশ ভালো। কয়েকটি ব্যাংক বেশ ভালো ব্যবসা করছে এবং বিনিয়োগকারীদের ভালো লভ্যাংশ দিতে পারছে। কিন্তু ব্যাংকখাতের সমস্যা হলো খেলাপি ঋণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।- সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম
তালিকাভুক্ত যে ১৪টি ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে তার মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক (ইবিএল), উত্তরা ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক এবং ব্যাংক এশিয়ার লভ্যাংশ গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ইবিএল ও উত্তরা ব্যাংক। দুটি ব্যাংকই ২০২৪ সালের জন্য বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর মধ্যে ইবিএল ২০২৩, ২০২২ ও ২০২১ সালে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। তার আগে ২০২০ সালে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এ হিসাবে শেষ চার বছরের মধ্যে এবার ব্যাংকটি সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন ব্যাংকের লভ্যাংশ ঘোষণার নতুন নির্দেশনা খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি থাকা ব্যাংক লভ্যাংশ দিতে পারবে না ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে ইস্টার্ন ব্যাংক, টাকার সঙ্গে আছে শেয়ারনিয়মিত ভালো লভ্যাংশ দেওয়া উত্তরা ব্যাংক ২০০৯ সালের পর এবার সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ২০০৯ সালে ব্যাংকটি ৫০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। এবার ব্যাংকটি নগদ ও বোনাস শেয়ার মিলিয়ে ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০২২ ও ২০২১ সালে ১৪ শতাংশ নগদ ও ১৪ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০২০ সালে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
Advertisement
বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় লভ্যাংশ ঘোষণা করা ব্র্যাক ব্যাংক এবার ২০১৭ সালের পর সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগকারীদের ২৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। এবারও ব্যাংকটি ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার রয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০২২ ও ২০২১ সালে সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়।
শেষ ১৩ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা এসেছে প্রাইম ব্যাংক থেকে। ২০১১ সালে ব্যাংকটি বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। এরপর দীর্ঘ ১৩ বছর পর এবার ব্যাংকটি নগদ ও বোনাস শেয়ার মিলিয়ে ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও আড়াই শতাংশ বোনাস শেয়ার। এর আগে ২০২৩, ২০২২ ও ২০২১ সালে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ এবং ২০২০ সালে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় ব্যাংকটি।
এবার ১০ শতাংশ নগদ ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার মিলিয়ে মোট ২০ শতাংশ লভ্যাশ ঘোষণা করেছে ব্যাংক এশিয়া। ২০১৫ সালের পর এটি এই ব্যাংকের সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা। এর আগে ২০২৩ সালে ১৩ শতাংশ নগদ, ২০২২ ও ২০২১ সালে ১৫ শতাংশ নগদ এবং ২০২০ সালে ১০ শতংশ নগদ লভ্যাংশ দেয় ব্যাংকটি। ২০১৫ সালে ব্যাংকটি ১৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। এরপর ২০২৪ সালের আগে আর ব্যাংকটি ২০ শতাংশ লভ্যাংশ দিতে পারেনি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো যে লভ্যাংশ দিয়েছে সেটাকে আমরা খুবই ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বেশিরভাগ ব্যাংকের মুনাফা এবার মূল ব্যবসা থেকে আসেনি, সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ থেকে এসেছে। সুতরাং, ব্যাংকের এই লভ্যাংশের ধারা আগামীতে অব্যাহত থাকবে কি না সেটি দেখার বিষয়।-ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম
তিন বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে এনসিসি ব্যাংক। ২০২৪ সালের জন্য ব্যাংকটি ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে ১২ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০২১ সালে ১২ শতাংশ নগদ ও ৪ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০২০ সালে সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় ব্যাংকটি।
২০২৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া মিডল্যান্ড ব্যাংক এবার ৩ শতাংশ নগদ ও ৩ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ২০২৩, ২০২২ ও ২০২১ সালে ব্যাংকটি ৫ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দেয়। অর্থাৎ, গত তিন বছরের তুলনায় এবার ব্যাংকটির মোট লভ্যাংশের পরিমাণ বেড়েছে। এদিকে গত বছর বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেওয়া ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের লভ্যাংশের পরিমাণ এবার কমে গেছে। ২০২৪ সালের জন্য ব্যাংকটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেবে। এর আগে ২০২৩ ও ২০২২ সালে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০২১ সালে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০২০ সালে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়।
গত বছরের তুলনায় লভ্যাংশের পরিমাণ কমা যমুনা ব্যাংক এবার সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৬ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ২০২৩ ও ২০২২ সালে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৮ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০২১ ও ২০২০ সালে সাড়ে ১৭ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দেয় ব্যাংকটি।
ট্রাস্ট ব্যাংক ২০২৪ সালের জন্য সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে ১২ শতাংশ নগদ ও ৮ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০২১ সালে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০২০ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় ব্যাংকটি।
লভ্যাংশের পরিমাণ কমা আরেক প্রতিষ্ঠান শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। এই ব্যাংকটি এবার ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে ১৪ শতাংশ নগদ, ২০২২ সালে ১২ শতাংশ নগদ ও ৩ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০২১ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০২০ সালে ৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় ব্যাংকটি।
এদিকে সিটি ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের লভ্যাংশ আগের বছরের সমান রয়েছে। এর মধ্যে সিটি ব্যাংক ২০২৪ সালের জন্য সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০২১ সালে সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০২০ সালে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় ব্যাংকটি।
পূবালী ব্যাংক এবার বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও ১২ সাড়ে শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২৩ সালেও একই লভ্যাংশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে ২০২২, ২০২১ ও ২০২০ সালে ব্যাংকটি সাড়ে ১২ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দেয়।
২০২৩ সালে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এবার ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে ২০২২, ২০২১ ও ২০২০ সালে ব্যাংকটি ১০ শতাংশ করে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। অর্থাৎ, ব্যাংকটির লভ্যাংশ ১০ শতাংশের মধ্যেই আবদ্ধ রয়েছে। অবশ্য গত পাঁচ বছরের মধ্যে মাত্র একবার নগদ লভ্যাংশ দিতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংকখাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। তিন মাস আগে অর্থাৎ, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। এ হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৬০ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকখাতে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা।
যোগাযোগ করা হলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘ব্যাংকগুলোর ঘোষণা করা লভ্যাংশের চিত্র বেশ ভালো। কয়েকটি ব্যাংক বেশ ভালো ব্যবসা করছে এবং বিনিয়োগকারীদের ভালো লভ্যাংশ দিতে পারছে। কিন্তু ব্যাংকখাতের সমস্যা হলো খেলাপি ঋণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। যে কারণে ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থা কমছে। আমি মনে করি খেলাপি ঋণ কীভাবে আদায় করা যায় এবং কীভাবে খেলাপি ঋণ কমানো যায় সেদিকে নজর দিতে হবে।’
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো যে লভ্যাংশ দিয়েছে সেটাকে আমরা খুবই ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। তবে বেশিরভাগ ব্যাংকের মুনাফা এবার মূল ব্যবসা থেকে আসেনি, সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ থেকে এসেছে। সুতরাং, ব্যাংকের এই লভ্যাংশের ধারা আগামীতে অব্যাহত থাকবে কি না সেটি দেখার বিষয়।’
ডিএসইর সাবেক পরিচালক শরীফ আতাউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘কয়েকটি ব্যাংক খুবই ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে। এসব ব্যাংকের ডিভিডেন্ট ইল্ড খুবই ভালো। ডিভিডেন্ট ইল্ড বিবেচনায় নিলে বর্তমানে বেশ কিছু ব্যাংকের শেয়ার বিনিয়োগের জন্য বেশ উপযুক্ত।’
এমএএস/এএসএ/এমএফএ/এএসএম