বিকেএসপির চার নম্বর গ্রাউন্ডে লড়াই হলো আবাহনী এবং প্রাইম ব্যাংকের দুই ওপেনারের মধ্যে। আবাহনীর পারভেজ হোসেন ইমন এবং প্রাইম ব্যাংকের ওপেনার নাইম শেখ। দুই ওপেনারের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ী হলো পারভেজ হোসেন ইমনই।
Advertisement
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ১০ রাউন্ডের খেলায় আবাহনীর কাছে ১৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হলো প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। এই জয়ে রাউন্ড রবিন লিগে শীর্ষে থেকেই সুপার লিগে ওঠা নিশ্চিত করলো আবাহনী।
১০ রাউন্ড শেষে আকাশী-হলুদ শিবিরের পয়েন্ট ১৮। রাউন্ড বাকি আর একটা। সুপার লিগ আগেই নিশ্চিত করেছিলো তারা। এবার শীর্ষস্থান নিশ্চিত কি না, সেটাই বড় বিষয়। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোহামেডানের রান রেট অনেকটা কম। শেষ ম্যাচে আবাহনী হেরে গেলেও রান রেটে তাদেরকে মোহামেডানের টপকে যাওয়া একেবারে নেই বললেই চলে।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রান করে আবাহনী। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩২ ওভারে ১৫৭ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
Advertisement
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আবাহনীর ওপেনার জিসান আলম (১৩) খুব বেশি কিছু করতে না পারলেও পারভেজ ইমন আর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে ১৩৭ রানের বড় জুটি গড়ে ওঠে। ৭১ বলে ৭৯ রান করেন পারভেজ হোসেন ইমন। ৭০ বলে ৫৮ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
নিচের দিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৩৭ রান করেন। রিপন মন্ডল অপরাজিত থাকেন ১৭ রানে। মুমিনুল হকও ১৭ রান করে আউট হন। প্রাইম ব্যাংকের হাসান মাহমুদ ৩৮ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। নাঈম আহমেদ নেন ৩ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে প্রাইম ব্যাংকের ওপেনার নাইম শেখ একাই লড়াই করলেন। ৭৩ রান করে আউট হন তিনি। শেষ দিকে শামীম হোসেন পাটোয়ারী ২৬ বলে ৪০ রান করেও দলীয় স্কোর বড় করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৫৭ রানে অলআউট হয় প্রাইম ব্যাংক। আবাহনীর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট নেন রাকিবুল হাসান।
আইএইচএস/
Advertisement