ভারতীয় বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করছে ভারত সরকার। গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দেশটির কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর ও শুল্ক বোর্ড (সিবিআইসি) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই সিদ্ধান্তের বাতিলের ফলে আর্থিক ক্ষতি আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ীরা।
Advertisement
এমনিতেই বাংলাদেশি পর্যটকের অভাবে মহাসংকটে রয়েছে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতি। এর মধ্যে বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের ফলে কেবল পেট্রাপোল স্থলবন্দরেই ৪০ শতাংশ আর্থিক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন>>
বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলো ভারত ভারতের বিরুদ্ধে ডব্লিউটিও’তে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ রপ্তানিকারকদের চাপেই এমন সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের?পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জাগোনিউজকে জানান, বাংলাদেশ থেকে আসা কন্টেইনারগুলোতে বাংলাদেশের গার্মেন্টস এবং অন্যান্য পণ্য থাকতো। এসব পণ্য ভারত হয়ে তৃতীয় দেশে যেতো। পণ্যগুলো বাংলাদেশ থেকে প্রথমে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে আসতো। এরপর সেগুলো কাস্টমস সিল হয়ে জাতীয় সড়ক দিয়ে দিল্লি যেতো। জাহাজেও যেতো কিছু পণ্য। সেখান থেকে তৃতীয় দেশে রপ্তানি হতো।
Advertisement
তিনি জানান, পেট্রাপোলে প্রতিদিন যদি ২০০ গাড়ি আসতো, তার ৪০ শতাংশ থাকতো এই ধরনের পণ্যের, অর্থাৎ ট্রান্সশিপমেন্টের গাড়ি।
কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, পণ্যগুলো বাংলাদেশ থেকে আসতো, তা আমাদের না এবং আমাদের দেশে বিক্রিও হয় না। সেগুলো বিক্রি হয় বিদেশে। তারা আমাদের বন্দরটি ব্যবহার করতো মাত্র। কিন্তু যারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল তারা ৪০ শতাংশ কাজ হারালো। ট্রান্সশিপমেন্টে যেসব ট্রাক বা ট্রেলার যুক্ত ছিল, তারা কাজ হারালো। লজিস্টিক কোম্পানিগুলো যারা বন্দর পর্যন্ত এই পণ্যগুলো পৌঁছে দিতো, তারাও কাজ হারালো।
তিনি বলেন, ভারত সরকারের নীতিই আমাদের নীতি। আমাদের সেই নীতি অনুসরণ করতে হবে। তবে আঞ্চলিক ক্ষেত্রে আমাদের কোনো জায়গায় যদি কিছু ক্ষতিও হয়, বৃহত্তর স্বার্থে আমাদের সেটি মেনে নিতে হবে।
তবে এই সিদ্ধান্তের ফলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তাদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান কার্তিক চক্রবর্তী।
Advertisement
ডিডি/কেএএ/