ক্যাম্পাস

পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দ ফেরতসহ ৬ দাবি আজাদ ফিলিস্তিনের

পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দ ফেরতসহ ৬ দাবি আজাদ ফিলিস্তিনের

বাংলাদেশি পাসপোর্টে আগে থাকা ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দটি ফিরিয়ে আনাসহ ছয় দফা দাবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে মার্চ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা সংগঠন ‘আজাদ ফিলিস্তিন’।

Advertisement

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমবেত হন আজাদ ফিলিস্তিনের আন্দোলনকারীরা। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দোলনকারীরা সমবেত হয়ে মিছিল শুরু করেন। মিছিল শেষে সমাবেশে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। পরে মিছিল নিয়ে তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে মার্চ করেন।

মিছিলে ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, জায়োনিজম নো মোর’, ‘ইসরায়েল নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক’, ‘ফ্রম দ্যা রিভার টু দা সি, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন’সহ নানা স্লোগান দেওয়া হয়।

আন্দোলনকারীদের হাতে ‘সেইভ গাজা’, ‘স্বপ্ন দেখি প্রতিদিন, স্বাধীন হবে ফিলিস্তিন’, ‘উই আর গাজা’ লেখা ফেস্টুনসহ নানা ধরনের লেখা দেখা যায়। এ সময় মিছিলে ৭০ ফুট লম্বা একটি ফিলিস্তিনি পতাকাও দেখা যায়।

Advertisement

সমাবেশে, আজাদ ফিলিস্তিনের অন্যতম সংগঠক এবি জুবায়ের তাদের দাবিকৃত ছয় দফা দাবি পড়ে শোনান। দাবিগুলো হলো-

১. অনতিবিলম্বে মার্কিন মদদে গাজায় চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিন্দা জানানো এবং বৈশ্বিক পরিমন্ডলে ফিলিস্তিনের পক্ষে জনমত গঠন ও কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা।

২. যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে গণহত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা করার জবাবদিহি চাওয়া।

৩. কালবিলম্ব না করে পাসপোর্টে পুনরায় ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ কথাটি ফিরিয়ে আনা।

Advertisement

৪. ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার অর্থের জোগানদাতা সব পণ্য ও সেবাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বয়কট করা এবং তাদের দোসরদের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা।

৫. ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ইসরায়েল থেকে আড়িপাতার যন্ত্র কেনাসহ অন্য যেসব গোপন চুক্তি করেছে তা শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশ করা এবং

৬. ইসরায়েলের মতো একই বর্বর কায়দায় গণহত্যা চালানোর দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।

সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারীরা ভিসি চত্বর দিয়ে শহীদ মিনার হয়ে হাইকোর্ট মোড়ে অবস্থান নেন এবং স্লোগান দেন।

বাংলাদেশি পাসপোর্টে অতীতে ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ শব্দটি লেখা থাকলেও ২০২১ সালে তা উঠিয়ে দেওয়া হয়।

এমএমএআর/এএসএম