ঈদ কড়া নাড়ছে দরজায়। ভোজনবিলাসী বাঙালি মজাদার সব রান্নার সরঞ্জাম গোছাতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। একসময় ঈদ-উল-ফিতর ‘সেমাই ঈদ’ নামেই পরিচিত ছিল। দুধ সেমাই আর লাচ্ছা সেমাই ছিল ঈদের সকালে মেনুর প্রধান আকর্ষণ। তবে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে খাবারের বৈচিত্র্য। সেই সঙ্গে বেড়েছে কাজের বহর।
Advertisement
অনেক ধরনের পদ তৈরির সরঞ্জাম গোছাতে গিয়ে শেষ মুহূর্তে দেখা যায় জরুরি কিছু ছুটে গিয়েছে। আবার বাসার গৃহকর্মী ঈদের ছুটিতে যাওয়ার আগে তার সাহায্য নিয়ে কিছু অগ্রিম প্রস্তুতিও নিয়ে রাখা যায়। জেনে নিন চাঁদরাতের আগেই আপনার রান্নাঘরকে ঈদের জন্য প্রস্তুত করবেন কীভাবে-
১. সব প্রথমে আপনার প্রয়োজন আগাগোড়া পরিচ্ছন্ন একটি রান্নাঘর। আর এ কাজ একা করা খুব ক্লান্তিকর। তাই ছুটির দিনে পরিবারের সদস্যদের বা গৃহকর্মীর সাহায্য নিয়ে ডিপ-ক্লিন করে ফেলুন আপনার রসুই ঘর। সেহরি-ইফতার বানানোর জন্য রোজ হাতের কাছে রাখা ছিল যেসব জিনিস, সেগুলো গুছিয়ে ফেলুন। এতে রান্নাঘরে আপনার ব্যবহার করার মতো জায়গা বাড়বে।
২. যেসব রান্নার জন্য পূর্ব-প্রস্তুতি লাগে, যেমন মাংস ম্যারিনেট করে রাখা, বিশেষ কোনো মসলা তৈরি করা, এগুলো আগেই সেরে ফেলুন। এই ধরনের কাজ ঈদের দুই-তিন দিন আগে করে রাখলে চাঁদরাতে পরিবারের সঙ্গে আনন্দ করার জন্য বেশি সময় পাবেন। আবার কাজের চাপও কমবে।
Advertisement
৩. উৎসবের জন্য যদি কোন বিশেষ বাসন-কোসন ব্যবহার করতে চান, সেগুলো ধুয়ে-মুছে হাতের কাছে রাখতে পারেন।
৪. ঈদের রান্নায় এমন বেশ কিছু মসলা প্রয়োজন হয়, যেগুলো সারা বছর ব্যবহার করা হয়না, যেমন, বিরিয়ানির মসলা, কালাভুনা মসলা, চটপটির মসলা, ফুচকার মসলা, সেমাইয়ের বিশেষ কোনো প্রস্তুতি ইত্যাদি। এমন আনকমন মসলাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসের একটা লিস্ট করে ফেলুন। এতে শেষ মুহূর্তের তাড়াহুড়োতে জরুরি কিছু ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা কমবে।
৫. বিরিয়ানি, পোলাও, রোস্ট, কোরমা, সেমাই ও হালুয়া জাতীয় খাবারে বিভিন্ন রকম বাদাম ও কিসমিসের ব্যবহার করেন অনেকে। তাই লিস্টে বাদাম যোগ করতে ভুলবেন না।
৬. মাংসগুলো আগে থেকেই মসলা দিয়ে প্রস্তুত করে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন।
Advertisement
যতোই ভুরিভোজের ব্যবস্থা থাকুক না কেন, মনে রাখবেন সারা মাস রোজা রাখার পর হঠাৎ এসব মসলাদার খাবার পেটে অস্বস্তি তৈরি করতে পারে। তাই সম্ভব হলে হালকা খাবারও রাখার চেষ্টা করুন ঈদের মেনুতে।
এএমপি/জেআইএম