জাতীয়

সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটা সংরক্ষণে সহযোগিতার প্রস্তাব ভারতের

বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক সত্যজিৎ রায়ের ময়মনসিংহের পৈতৃক বাড়ি ভাঙার খবরে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। এ প্রেক্ষাপটে ঐতিহাসিক এ স্থাপনা সংরক্ষণে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, পূর্বপুরুষ থেকে সত্যজিৎ রায়ের দাদা ও খ্যাতিমান সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর পাওয়া এই বাড়িটি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন। দীর্ঘদিনের অবহেলায় বাড়িটি জীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

ভারত সরকার জানিয়েছে, বাংলা সংস্কৃতির জাগরণের প্রতীক এই ভবনটি ভেঙে ফেলার পরিবর্তে তা মেরামত ও পুনর্নির্মাণ করে সাহিত্য জাদুঘর হিসেবে রক্ষা করা উচিত। এটি ভারত-বাংলাদেশের যৌথ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে থাকবে।

Advertisement

এই উদ্দেশে ভবনটি পুনর্নির্মাণ ও সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকারকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে ভারত সরকার।

মঙ্গলবার সত্যজিৎ রায়ের এই পৈতৃক বাড়ি ভাঙার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক এই বাড়ি ভেঙে ফেলছে বাংলাদেশ সরকার। ময়মনসিংহের হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে অবস্থিত শতবর্ষী এই বাড়ি সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষ হরিকিশোর রায় চৌধুরীর, যিনি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসূয়ার জমিদার ছিলেন। তিনি বাংলা শিশুসাহিত্যের অন্যতম পথিকৃৎ উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী, সুকুমার রায় এবং সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষ।

ময়মনসিংহ শহরের হরিকিশোর রায় সড়কের প্রাচীন একতলা ভবনটি ১৯৮৯ সাল থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ব্যবহার করলেও, গত ১০ বছর ধরে এটি জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল।

Advertisement

বাড়িটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে এটি সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এর মধ্যেই নগরীর হরিকিশোর রায় রোডের শতবর্ষী এই বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে।

সরকার জানিয়েছে, বহু বছর ধরে অবহেলায় নষ্ট হতে থাকা ময়মনসিংহ শিশু একাডেমির এই ভবন ভেঙে আধাপাকা নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।

বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাড়িটি শত বছরেরও বেশি পুরোনো এবং ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর এটি সরকারি মালিকানায় আসে।

জেপি/এএমএ