দেশজুড়ে

পাবনায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ মামলায় ১২ আসামি কারাগারে

পাবনায় বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ মামলায় ১২ আসামি কারাগারে

পাবনার সুজানগরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষ থেকে দুটি মামলা করা হয়েছে। এরমধ্যে পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মজিবর খার অনুসারী রশিদ খার স্ত্রী কাজলী খাতুন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রউফ শেখসহ তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

Advertisement

এ মামলায় মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ১৩ জন জামিন আবেদন করলে ১২ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পাবনা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন মধুপুরের সাবেক ইউপি সদস্য মজিবর রহমান খান (৪৭), তাতিবন্ধ ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম আজম (৫২), ভবানীপুরের হাসু শেখের ছেলে মো. ফারুক শেখ (৩৫), কামারদুলিয়া গ্রামের মন্টু মাস্টারের ছেলে রুহুল আমিন (৩৭), ভবানিপুরের ওমর কসাইয়ের ছেলে জাবেদ (৩২), ক্রোড়কদুলিয়ার হাসেন খার ছেলে রঞ্জু খা (৩২), একই এলাকার শিতল আলীর ছেলে আইযুব আলী (৩২), উদয়পুর গ্রামের ময়েন বিশ্বাসের ছেলে রাজ্জাক বিশ্বাস (৪২), মজিবর বিশ্বাসের ছেলে হাসু বিশ্বাস (২৮), চন্ডিপুরের বছির শেখের ছেলে বিল্লাল শেখ (৩২), ক্রোড়দুলিয়ার মন্টু মাস্টারের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮) ও কামারদুলিয়ার মন্টু মাস্টারের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৮)। তারা সবাই সুজানগর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রউফ শেখের অনুসারী বলে জানা গেছে।

আদালত সূত্র জানায়, সংঘর্ষে আহতদের পক্ষে পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মজিবর খার অনুসারী রশিদ খার স্ত্রী কাজলী খাতুন একটি মামলা করেন। এ মামলায় বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ শেখসহ ৩৩ জনকে আসামি করা হয়। মঙ্গলবার এদের মধ্যে ১৩ জন জামিন আবেদন করলে এক শিক্ষার্থীকে জামিন দিলেও অন্য ১২ জনের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

Advertisement

এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাসুদ খন্দকার বলেন, মামলায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটি জামিনযোগ্য। পরবর্তী সময়ে জামিন আবেদন করলে আসামিরা জামিন পাবেন।

এর আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার (৯ জুলাই) সুজানগর পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মজিবর খার অনুসারী আশিক ও সবুজকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রউফ শেখের ভাতিজা ও ছাত্রদল নেতা কাউছার এবং তার অনুসারীরা। এরপর মজিবর খা ও তার লোকজন দলবদ্ধভাবে এসে কাউছারদের ওপর হামলা চালান। এসময় আব্দুর রউফ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে থামাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে ও মারধর করে আহত করা হয়। সেখানে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হন।

এ ঘটনায় শনিবার (১২ জুলাই) রাতে সংঘর্ষে জড়ানো উভয়পক্ষ থেকে দুটি ও বিএনপির কেন্দ্র থেকে একটি মামলা করা হয়। উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ আব্দুর রউফের ছেলে আদনানুর রউফ রুদ্রের করা মামলায় নয়ন খা নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আলমগীর হোসাইন নাবিল/এসআর/এএসএম

Advertisement