রাশিয়ায় রাতভর দফায় দফায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে, তারা দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ১৩২টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে।
Advertisement
মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে এক পোস্টে জানিয়েছে, গত রাতে (বুধবার) বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ১৩২ ইউক্রেনীয় চালকবিহীন ড্রোন ধ্বংস করেছে।
এর একদিন আগেই একরাতে ইউক্রেনের ৪৬ ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তারা জানায়, এর মধ্যে বেশিরভাগ ড্রোন সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চলের আকাশে ধ্বংস করা হয়েছে।
টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সে সময় জানায়, ৪১টি ড্রোন বেলগোরোদ অঞ্চলের আকাশে ধ্বংস করা হয়েছে, বাকিগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে ব্রিয়ানস্ক, কুরস্ক ও ওরিওল অঞ্চলে।
Advertisement
কিয়েভ আগে থেকেই বলে আসছে, রাশিয়ার অভ্যন্তরে তাদের হামলার লক্ষ্য হচ্ছে যুদ্ধের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করা। তাদের দাবি, এই হামলাগুলো মূলত মস্কোর যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে দুর্বল করার জন্য চালানো হচ্ছে এবং রাশিয়ার টানা বোমা হামলার জবাব হিসেবেই ইউক্রেন এসব চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা ফোনালাপের পর তার দেওয়া ইউক্রেনে তাৎক্ষণিক ও পূর্ণ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কেবল ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোয় চলমান হামলা সাময়িকভাবে বন্ধ করতে সম্মত হয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি সৌদি আরবে এক বৈঠকে ট্রাম্পের প্রতিনিধি দল ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার এক মাসের পূর্ণ যুদ্ধবিরতির যে পরিকল্পনা করেছিল তাতে স্বাক্ষর করতে রাজি হননি পুতিন। তিনি বলেন, একটি শর্তেই পূর্ণ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা সম্ভব হতে পারে। আর তা হলো– ইউক্রেনকে বিদেশি সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয় রাশিয়া/ ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোয় সাময়িকভাবে হামলা বন্ধে সম্মতি ইউক্রেন ইস্যুতে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ট্রাম্প-পুতিনের ফোনালাপ যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে চলছে ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপযদিও ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্ররা এর আগেও এই শর্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিন বছর ধরে চলমান এই সংঘাতের মধ্য দিয়ে রাশিয়া সম্প্রতি তাদের কুরস্ক অঞ্চলের কিছু এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে, যা ছয় মাস আগে ইউক্রেনীয় বাহিনীর দখলে চলে গিয়েছিল।
Advertisement
টিটিএন