দেখতে দেখতে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) প্রথম পর্বের অর্ধেক খেলা হয়ে গেছে। ১২ দলের অংশগ্রহণে এই লিগে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে প্রতি দল খেলবে ১১টি করে ম্যাচ। সব দল এরই মধ্যে ৬টি করে খেলা শেষ করে ফেলেছে।
Advertisement
ঈদের ছুটির আগে আরও দুই রাউন্ড খেলা হবে। অর্থাৎ ৮টি করে ম্যাচ হয়ে যাবে সব দলের। তবে টেবিলের বর্তমান যে চালচিত্র, এতে বলার উপায় নেই কোন ৬ দল খেলবে সুপার লিগ।
ওঠা-নামার পালা চলছে অবিরাম। প্রায় দিনই কোনো না কোনো চমক থাকছে। কাগজে-কলমের বড় তিন দল মোহামেডান, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও প্রাইম ব্যাংক তুলনামূলক পিছিয়ে। তাদের টপকে আবাহনী লিমিটেড, গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও অগ্রণী ব্যাংক পয়েন্ট প্রাপ্তিতে ওপরে।
ষষ্ঠ রাউন্ড শেষে দলগুলোর অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, ঈদের আগে সুপার লিগের সম্ভাব্য লাইন-আপ খুঁজে বের করা কঠিন। এ মুহূর্তে আবাহনী, গাজী গ্রুপ ও অগ্রণী ব্যাংক ৬ ম্যাচের ৫টি করে জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে টেবিলের ওপরে অবস্থান করছে। তবে রানরেটে আবাহনী (১.৫১৮) এক নম্বর। গাজী গ্রুপ (১.২৩৯) দ্বিতীয় আর অগ্রণী ব্যাংক (০.৫০৫) তিন নম্বরে।
Advertisement
এরপরই আছে দুই দল- মোহামেডান ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। এ দল দুটি ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট করে পেয়েছে। রানরেটে মোহামেডান (০.৪৫১) চার নম্বরে। নতুন দল গুলশান ক্রিকেট ক্লাব (০.০৭৯) তাদের পরে।
এর বাইরে কাগজে-কলমের তিন প্রতিষ্ঠিত দল ৬ ম্যাচে সমান জয় ও পরাজয়ে ৬ পয়েন্ট পেয়ে অবস্থান করছে ওপরে উল্লেখিত দলগুলোর পেছনে। দল ৩টি হলো- লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ (১.৫২৬ ), প্রাইম ব্যাংক (০.২৬৬) ও ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাব (-০.৫৪৩)।
ওপরের এই ৮ দলের মধ্যেই সুপার লিগের জোর লড়াই চলছে। বাকি ৪ দল- রূপগঞ্জ টাইগার্স, পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও শাইনপুকুর অনেক পিছিয়ে। এ দলগুলো পয়েন্ট ৬ ম্যাচে মাত্র ২ করে। পরের রাউন্ডগুলোতে খুব ভালো না খেললে সেরা ছয়ে জায়গা পাওয়া কঠিন হবে তাদের।
সম্ভাব্য সুপার সিক্সে যে ৮ দলের কথা বলা হলো, তাদের যেকোনো দলই শেষ পর্যন্ত সুপার লিগ খেলতে পারে। এ মুহূর্তে আবাহনী, গাজী গ্রুপ ও অগ্রণী ব্যাংক সবার ওপরে থাকলেও পেছনে থাকা মোহামেডান, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ, প্রাইম ব্যাংক ও ধানমন্ডি ক্লাবের পর্যাপ্ত ক্ষমতা আছে সেরা ছয়ে জায়গা করে নেওয়ার।
Advertisement
তারুণ্যনির্ভর গুলশান ক্রিকেট ক্লাবকেও খাট করে দেখার কোনো কারণ নেই। খালেদ মাহমুদ সুজনের প্রশিক্ষণে গুলশানও এরই মধ্যে ‘ডার্ক হর্স’ হিসেবে নিজেদের মেলে ধরেছে। তাদের চেয়ে অনেক বিগ বাজেটের দল যা পারেনি, এক ঝাঁক তরুণের সঙ্গে পয়ত্রিশ পার হওয়া ৩ অভিজ্ঞ নাইম ইসলাম, ফরহাদ রেজা আর ইলিয়াস সানি তাই করে দেখিয়েছেন। ৬ ম্যাচে গুলশানের ৪টি জয় তারই দলিল।
শেষ পর্যন্ত সুপার সিক্সে থাকবে কারা? জানতে অপেক্ষায় থাকতেই হবে। ঈদের আগে যে দুই পর্ব আছে, তাতেও সুপার লিগের জট খুলবে বলে মনে হয় না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ঈদের ছুটির পর যে আরও ৩ রাউন্ড হবে, সেখানেই আসলে সত্যিকার চিত্র পরিষ্কার হবে।
এদিকে আগামীকাল শুক্রবার (২১ মার্চ) থেকে শুরু সপ্তম রাউন্ড। এদিন যথারীতি ৩টি ম্যাচ। শেরে বাংলায় লড়বে তামিম ইকবালের মোহামেডান ও নুরুল হাসান সোহানের ধানমন্ডি। নাজমুল হোসেন শান্তর আবাহনী ও এনামুল হক বিজয়ের গাজী গ্রুপের লড়াই হবে বিকেএসপি ৪ নম্বর মাঠে। আর বিকেএসপি ৩ নম্বর মাঠে মোকাবিলা করবে নাইম শেখের প্রাইম ব্যাংক ও শাইনপুকুর।
এআরবি/এমএইচ/জেআইএম