• তিনটি গাড়ি ভাড়ায় খরচ হবে ২ কোটি টাকা• পেট্রল ও লুব্রিক্যান্টে খরচ হবে ২ কোটি টাকা • গ্যাস ও জ্বালানি বাবদ খরচ হবে ১০ লাখ টাকা• প্রতিটি গাড়ির শুধু মাসিক ভাড়াই ২ লাখ ২২ হাজার টাকা গরিব বা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য শৌচাগার নির্মাণ কাজে ২৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকার পরামর্শক ব্যয় চেয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রতিটি কমিউনিটি শৌচাগার নির্মাণে খরচ হবে ৯ লাখ টাকা আর টুইন পিট শৌচাগারে খরচ হবে ৬৩ হাজার ৯৮০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য খাতেও অস্বাভাবিক ব্যয় প্রস্তাব করেছে তারা। এমন ব্যয় প্রস্তাবকে অযৌক্তিক বলে মনে করছে পরিকল্পনা কমিশন।
Advertisement
তাছাড়া এ ধরনের শৌচাগার বানানো নতুন কোনো কাজ নয়। এর আগেও একই ধরনের তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। জাতীয় স্যানিটেশন প্রকল্প প্রথম ধাপে জুলাই ২০০৪ থেকে ডিসেম্বর ২০০৭ মেয়াদে, দ্বিতীয় ধাপে জুলাই ২০০৪ থেকে জুন ২০১৩ মেয়াদে এবং তৃতীয় ধাপে জানুয়ারি ২০১৬ থেকে জুন ২০২২ মেয়াদে বাস্তবায়িত হয়েছে। তারপরও একই ধরনের নতুন প্রকল্পে পরামর্শক ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনা কমিশন। শুধু পরিকল্পনা কমিশন নয়, প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদরাও। একই সঙ্গে পরামর্শক খাত বাবদ ২৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন দুশ্চিন্তার নাম গণশৌচাগার নিরাপদ স্যানিটেশন নিয়ে যতটা আলোচনা হয়েছে বাস্তবায়ন ততটা হয়নি জাবি ক্যাম্পাসে শৌচাগার সংকট ছাগল বিক্রি করে শৌচাগার নির্মাণ ‘ইউনিফর্ম পরে শৌচাগারে যেতে অস্বস্তি বোধ করি’ শৌচাগার ব্যবহারে এত অনীহা কেন ভারতেজাতীয় স্যানিটেশন প্রকল্পের (তৃতীয় পর্যায়) অধীনে লালমনিরহাটে নির্মিত কমিউনিটি টয়লেট। ছবি: জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর
বানানো হবে পৌনে ৩ লাখ শৌচাগারস্যানিটেশন ও হাইজিন ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে গ্রামীণ স্যানিটেশন প্রকল্প নিয়েছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)। প্রকল্পের মোট প্রস্তাবিত ব্যয় এক হাজার ৯৯৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা। চলতি সময় থেকে ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত দেশের ৬৪ জেলার ৪৯৬ উপজেলার গ্রামীণ এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।
Advertisement
গ্রামীণ এলাকায় দরিদ্র পরিবারের জন্য দুই লাখ ৭৪ হাজার ৩০১টি টুইন পিট ল্যাট্রিন বা শৌচাগার স্থাপন করা হবে। এতে খরচ হবে এক হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা। প্রতিটি শৌচাগার নির্মাণে ব্যয় হবে ৬৩ হাজার ৯৮০ টাকা।
জনসমাগম স্থানে (হাট-বাজার, গ্রোথ সেন্টার, বিনোদন কেন্দ্র, ধর্মীয় উপাসনালয়, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) নিরাপদ ব্যবস্থাপনার স্যানিটেশন সুবিধা সংবলিত এক হাজার ৯৮৪টি কমিউনিটি শৌচাগার নির্মাণ করা হবে। এতে খরচ পড়বে ১৭৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। প্রতিটি কমিউনিটি শৌচাগার নির্মাণে খরচ হবে ৯ লাখ টাকা।
‘আমরা পরামর্শক ব্যয় কমাতে বলেছি। ২৫ কোটি টাকা ব্যয় বেশি মনে হয়েছে। তবে আমার মনে হয় এটা পাঁচ কোটি টাকার বেশি হবে না। এটাসহ প্রকল্পের বিভিন্ন খাতের ব্যয় কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে।’- ভৌত অবকাঠামো বিভাগের উপপ্রধান দেবোত্তম সান্যাল
ডিপিএইচই’র প্রস্তাবিত প্রকল্প নিয়ে ১৬ মার্চ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ও সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ।
Advertisement
পিইসি সভা প্রসঙ্গে ভৌত অবকাঠামো বিভাগের উপপ্রধান (ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ উইং-২) দেবোত্তম সান্যাল জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা পরামর্শক ব্যয় কমাতে বলেছি। ২৫ কোটি টাকা ব্যয় বেশি মনে হয়েছে। তবে আমার মনে হয় এটা পাঁচ কোটি টাকার বেশি হবে না। এটাসহ প্রকল্পের বিভিন্ন খাতের ব্যয় কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস প্রকল্প থেকে পরামর্শক ব্যয় আরও কমবে।’
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় অবহেলায় পড়ে আছে কমিউনিটি টয়লেট। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় দিবস উদযাপনে খরচ হবে ২ কোটি টাকাগ্রামীণ স্যানিটেশন প্রকল্পের পরামর্শক সেবা ছাড়াও সচেতনতা সৃষ্টি প্রোগ্রামের জন্য ছয় কোটি ৫২ লাখ টাকা, জাতীয় দিবস উদযাপনের জন্য দুই কোটি এবং সোশ্যাল ম্যাপিংয়ের জন্য ১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ কাজগুলোর প্রয়োজনীয়তা, প্রস্তাবিত ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনা কমিশন। এগুলো পরামর্শক ব্যয়ের আওতায় না রেখে পৃথক খাত আকারে প্রকল্পে উল্লেখ করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কমিশন।
‘টয়লেট তৈরি এমন কোনো কাজ নয় যেখানে ২৫ কোটি টাকা পরামর্শকদের জন্য খরচ করতে হবে। এর আগে এত ফেইজে কাজ করা হলো তারপরও নতুন পরামর্শক ব্যয় কেন? তাহলে আগের ফেইজের অভিজ্ঞতা কোথায় গেলো?’ -বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক মুস্তফা কে মুজেরি
এসব বিষয়ে বারবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন ধরেননি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা) এহতেশামুল রাসেল খান ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিকল্পনা সার্কেল) মোহাম্মদ আনোয়ার ইউসুফ।
আরও পড়ুন ইজতেমায় আলতাবের বিশেষ শৌচাগার ও গোসলখানা ভাইরাল সেই শৌচাগারের নামফলক উধাও, দুর্নীতি হয়নি দাবি ইউএনও’র বেহাল বেরোবির শৌচাগার : বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি ঢামেকের গণশৌচাগার ব্যবহার অনুপযোগী : দুর্ভোগে রোগী বিয়ের কার্ডে শৌচাগারের ছবি! বাড়িতে শৌচাগার না থাকলে বেতন বন্ধএ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরি জাগো নিউজকে বলেন, ‘টয়লেট তৈরি এমন কোনো কাজ নয় যেখানে ২৫ কোটি টাকা পরামর্শকদের জন্য খরচ করতে হবে। এর আগে এত ফেইজে কাজ করা হলো তারপরও নতুন পরামর্শক ব্যয় কেন? তাহলে আগের ফেইজের অভিজ্ঞতা কোথায় গেলো? নতুন করে পরামর্শক ব্যয়ের কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছি না। এটা অপচয় ছাড়া কিছু নয়। গুরুত্বপূর্ণভাবে বিবেচনা করে ভেরিফাই করা উচিত এটার প্রয়োজনীয়তা আছে কি না। আমি মনে করি এটা বাদ দিতে হবে।’
শৌচাগার নির্মাণের স্থানগুলোর তালিকা ডিপিপিতে নেইপরিকল্পনা কমিশন জানায়, প্রকল্পের আওতায় জনসমাগমস্থলে এক হাজার ৯৮৪টি কমিউনিটি শৌচাগার নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জেলা ও উপজেলা থেকে জরিপ করে এই শৌচাগার নির্মাণের স্থানগুলোর তালিকা উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) সংযুক্ত করেনি। টুইন পিট ল্যাট্রিন নির্মাণের ক্ষেত্রে উপকারভোগী নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে ডিপিপিতে কোনো কিছু নেই। প্রকল্পের আওতায় দুই লাখ ৭৪ হাজার ৩০১টি টুইন পিট ল্যাট্রিনের জন্য ৬০০টি প্যাকেজ এবং এক হাজার ৯৮৪টি কমিউনিটি শৌচাগার নির্মাণের জন্য ৪৯৬টি প্যাকেজ রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্যাকেজ সংখ্যা অধিক বলে দাবি কমিশনের, যা যৌক্তিকভাবে কমানো জরুরি।
• সেমিনার কনফারেন্সের আয়োজনে খরচ ২৫ লাখ টাকা • স্টেশনারি সিল ও স্ট্যাম্প বাবদ ২৫ লাখ টাকা, অন্যান্য স্টেশনারিতে ৬০ লাখ এবং কম্পিউটার সামগ্রীতে খরচ হবে ১৫ লাখ টাকা • অফিস সরঞ্জামাদি বাবদ ১৫ লাখ ও আসবাবপত্রে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব
প্রকল্পে সেমিনার কনফারেন্সের আয়োজন বাবদ ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেমিনার কনফারেন্স এ প্রকল্পের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নয়। সুতরাং এ সংস্থান এ প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে মত দিয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুন রাখিতে বোনদের শৌচাগার উপহার দিলেন ভাইয়েরা দুই পাড়ে শৌচাগার গড়ে তোলা নদীর পানি খাচ্ছেন তারা টয়লেটে বসে ফোন ব্যবহারে বাড়ছে কঠিন রোগের ঝুঁকি টয়লেট ব্যবহারের যে ভুলে হয় প্রস্রাবে ইনফেকশন সরকারি হাসপাতালের অপর্যাপ্ত টয়লেটও ব্যবহারের অনুপযোগী টয়লেট শেষে হাত না ধুয়ে খাবার তৈরি, ৫০ হাজার টাকা জরিমানাপ্রকল্পের আওতায় তিনটি গাড়ি ভাড়া বাবদ দুই কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে আড়াই বছরের প্রকল্পে প্রতিটি গাড়ি ভাড়া বাবদ মাসিক দাঁড়ায় দুই লাখ ২২ হাজার টাকা, যা অত্যধিক বলে মনে করে পরিকল্পনা কমিশন। এছাড়া গাড়ি ভাড়া সাধারণত জ্বালানি, চালকের বেতন ও রক্ষণাবেক্ষণসহ হয়। সেক্ষেত্রে পৃথকভাবে পেট্রল ও লুব্রিকেন্ট বাবদ দুই কোটি টাকা এবং গ্যাস ও জ্বালানি বাবদ ১০ লাখ টাকার প্রয়োজনীয়তা দেখছে না কমিশন।
স্টেশনারি সিল ও স্ট্যাম্প বাবদ ২৫ লাখ টাকা, অন্যান্য স্টেশনারি বাবদ ৬০ লাখ এবং কম্পিউটার সামগ্রী বাবদ ১৫ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অত্যধিক বেশি বলে মনে করছে পরিকল্পনা কমিশন। একই সঙ্গে এসব ব্যয় কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। অফিস সরঞ্জামাদি বাবদ ১৫ লাখ এবং আসবাবপত্র বাবদ ২৫ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ব্যয়ের যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছে না কমিশন।
প্রকল্পের যৌক্তিকতা প্রসঙ্গে ডিপিএইচই জানিয়েছে, দেশের সব নাগরিকের বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা পৌঁছে দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। স্যানিটেশন কাভারেজ নিরুপণের জন্য ২০০৩ সালের অক্টোবর মাসে একটি জাতীয় জরিপ করা হয়।
জরিপে দেখা যায়, দেশের দুই কোটি ১০ লাখ পরিবারের মধ্যে মাত্র ৩৩ শতাংশ স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার ব্যবহার করে। ২৫ শতাংশ অস্বাস্থ্যকর শৌচাগার ব্যবহার করে এবং ৪২ শতাংশ উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ করে।
২০০৩ সালে জাতীয় স্যানিটেশন প্রচারাভিযান শুরুর পর স্যানিটেশন প্রসারের লক্ষ্যে সরকার অনেকগুলো নীতিমালা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রণীত নীতিমালা বাস্তবায়ন ও ১০০ শতাংশ স্যানিটেশন কাভারেজ অর্জনের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। পদক্ষেপগুলোর মধ্যে জাতীয় স্যানিটেশন প্রকল্প (প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়) উল্লেখযোগ্য। জাতীয় স্যানিটেশন প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) জুলাই ২০০৪ থেকে ডিসেম্বর ২০০৭ মেয়াদে বাস্তবায়িত হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগের কাভারেজ ৬ শতাংশে দাঁড়ায়। এরপর জাতীয় স্যানিটেশন প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) জুলাই ২০০৪ থেকে জুন ২০১৩ মেয়াদে বাস্তবায়িত হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগের কাভারেজ ৪ শতাংশে দাঁড়ায়। সর্বশেষ, জাতীয় স্যানিটেশন প্রকল্প (তৃতীয় পর্যায়) বাস্তবায়নাধীন রয়েছে, যার কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। বাংলাদেশে উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থার কাভারেজ বর্তমানে ৬৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন নারীবান্ধব টয়লেট নেই ঢাকা বারে কমলাপুরে যাত্রীদের টয়লেট বন্ধ রেখে পাবলিক টয়লেট চালু অনুন্নত টয়লেট ব্যবহার করে ৭ শতাংশ পরিবার দেশজুড়ে প্রায় আড়াই লাখ টয়লেট নির্মাণ করেছে পিকেএসএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টয়লেট নির্মাণেও অনিয়মের অভিযোগটেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি করে উন্নতমানের শৌচাগারের সংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা সেক্টরের জন্য অনুমোদিত দরিদ্র সহায়ক কৌশল ২০২০ অনুযায়ী হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে স্যানিটেশন সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সবার জন্য সব সময় স্যানিটেশন ব্যবস্থা, সব প্রতিষ্ঠান ও জনসমাগম স্থানে নিরাপদ স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঘন ঘন বিভিন্ন দুর্যোগের ফলে বন্যাদুর্গত, ঝড় ও ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত এলাকায় জনগণের জন্য দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সে প্রেক্ষাপটে ২০২৭ সাল নাগাদ প্রকল্পভুক্ত এলাকার দরিদ্র জনসংখ্যার ৫০ শতাংশ সেফলি ম্যানেজড স্যানিটেশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এজন্য প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এমওএস/এমএমএআর/এএসএম