কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে ইউরোপকে বেছে নিয়েছেন মার্ক কার্নি। এর মাধ্যমে তিনি দীর্ঘ ঐতিহ্যকে ভেঙেছেন। কারণ রীতি অনুযায়ী, কানাডার কোনো প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফরের তালিকায় থাকে যুক্তরাষ্ট্র।
Advertisement
সম্প্রতি দুই প্রতিবেশী দেশ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়েছে। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতাগ্রহণের পরই বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেছেন। যা থেকে রেহাই পাচ্ছে না কানাডাও। এরই মধ্যে দেশটির ওপর শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। কানাডাও পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে।
তাছাড়া শুধু শুল্ক আরোপই নয় দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে ট্রাম্পের একটি মন্তব্য ঘিরেও। যেখানে ট্রাম্প কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা বলেছেন।
এর প্রতিক্রিয়ায় নতুন প্রধানমন্ত্রী শপথগ্রহণ শেষে বলেছেন, কানাডা কোনো দিনই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হবে না।
Advertisement
মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের মধ্যে ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে কানাডা।
তাই মার্ক কার্নি সোমবার ফ্রান্স সফরে যান। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠক করেন।
জাস্টিন ট্রুডোর উত্তরসূরি হিসাবে গত ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন কার্নি। এরপর এটিই তার প্রথম বিদেশ সফর। ফ্রান্স সফরের পর তিনি লন্ডন যান। সেখানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সূত্র: সিএনএন
Advertisement
এমএসএম