লাইফস্টাইল

ইফতারে রাখুন বাহারি সব পুষ্টিকর খাবার

রমজান মাসে দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত করতে ইফতারে সঠিক খাবার নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইফতার শুধু রোজা ভাঙার একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটি শরীরকে সারা দিনের ক্লান্তি দূর করে পরবর্তী সময়ের জন্য শক্তি জোগানোর সুযোগ করে দেয়। তাই ইফতারে এমন খাবার রাখা উচিত যা স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর ও সহজেই হজম হয়।

Advertisement

পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর কী কী বাহারি খাবার আপনি ইফতারএরাখতে পারেন দেখে নিন- খেজুর ও ফলমূল

খেজুর রোজা ভাঙার জন্য অন্যতম উত্তম খাবার। এটি দ্রুত শরীরে গ্লুকোজ সরবরাহ করে, যা ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। তরমুজ, আপেল, কমলা, পেঁপে, কলা, আঙুর, ড্রাগন ফ্রুট, স্ট্রবেরির মতো ফল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে।

শরবত

ঘরে তৈরি লেবুর শরবত, বেল শরবত, তোকমা দানার শরবত বা ডাবের পানি শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে। মিষ্টি দই ও দুধ মিশিয়ে তৈরি লাচ্ছিও ভালো বিকল্প হতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন-বেল, তরমুজ, পেঁপে, আমের শরবত তৈরি করতে পারেন ইফতারে।

তেল ছাড়া খাবার

আলুর চপ বা বেগুনি তেল কম ব্যবহার করে এয়ার ফ্রায়ার বা ওভেনে তৈরি করা যেতে পারে। সবজি ও মাংস দিয়ে তৈরি গ্রিলড কাবাব বা চিকেন স্যান্ডউইচ স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর বিকল্প। মম খেতে পারেন। স্টিম এই খাবারটি ইফতারে আপনাকে পেট ভরাতে এবং গ্যাস্ট্রিকের থেকে স্বস্তি দিতে সাহায্য করতে পারে।

Advertisement

প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার

ছোলা, ডাল ও মটরশুঁটি দিয়ে তৈরি চটপটি বা সালাদ শরীরে প্রোটিন ও ফাইবার সরবরাহ করে। সিদ্ধ ডিম, দই ও বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন কাঠবাদাম, কাজুবাদাম ইত্যাদি ভালো উৎস।

কার্বোহাইড্রেট ও শক্তিদায়ক খাবার

খিচুড়ি, নুডলস বা গমের রুটি দিয়ে তৈরি হালকা নাস্তা দীর্ঘক্ষণ শক্তি জোগাতে সাহায্য করে। চিড়া, ওটস বা কর্নফ্লেক্স দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে।

দই ও দুধজাতীয় খাবার

টক দই হজমশক্তি বাড়ায় এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখে। মিষ্টি দই বা লাচ্ছি শরীরে প্রোবায়োটিক সরবরাহ করে যা অন্ত্রের জন্য ভালো।

বাদাম ও বীজজাতীয় খাবার

বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, তিসি বীজ ও চিয়া সিড শরীরে ভালো ফ্যাট ও ফাইবার সরবরাহ করে। এগুলো সরাসরি খাওয়া যেতে পারে অথবা শরবত বা স্মুদি বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

Advertisement

ইফতারের কিছু স্বাস্থ্যকর টিপস

>> অতিরিক্ত ভাজাপোড়া ও অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন।>> পর্যাপ্ত পানি পান করুন, তবে একবারে বেশি পান না করে ধীরে ধীরে পান করুন।>> ইফতারে বেশি কোল্ডড্রিংক বা কার্বনেটেড পানীয় না খাওয়াই ভালো।>> প্রক্রিয়াজাত খাবারের চেয়ে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার রাখার চেষ্টা করুন।

আরও পড়ুন কাছের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবেন যেভাবে  নিজের ফুলটিই যখন মাটিতে গড়ায় 

কেএসকে/জিকেএস