মানুষের জন্মের পর বয়স অনুযায়ী বিভিন্ন ধাপে শরীরে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে। এ পর্যায়গুলোকে বয়স অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকা হয়। মানব জীবনের প্রথম পাঁচ বছর ‘শৈশব’। পাঁচ থেকে দশ বছর ‘বাল্যকাল’। এ সময় ছেলেকে বলা হয় ‘বালক’ আর মেয়েকে বলা হয় ‘বালিকা’।
Advertisement
বাল্যকালের পর আসে কৈশোর বা কিশোরকাল। কৈশোর হলো শৈশব থেকে যৌবনে পদার্পণের মধ্যবর্তী দশা। এ সময়জুড়ে বিভিন্ন রকম শারীরিক পরিবর্তন ঘটে। আকস্মিক হরমোনের পরিবর্তনের কারণে মানসিক আবেগের তীব্রতার উত্থান-পতন ঘটে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ১০-১৯ বছর বয়স পর্যন্ত সময় হচ্ছে কিশোরকাল। এ বয়সে ছেলেদের ‘কিশোর’ ও মেয়েদের ‘কিশোরী’ বলা হয়।
জাতীয় শিশু নীতি ২০১১ অনুযায়ী, কিশোর বলতে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের বোঝায়।
Advertisement
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাময়িকী ল্যানসেট চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডলসেন্ট হেলথে একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়, কৈশোর এখন শুরু হয় ১০ বছর বয়সে। আর তা ২৪ বছর বয়স পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
নবম-দশম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বইয়ে কৈশোরকালের বয়সসীমা বলা হয়েছে ১১ বছর থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত।
তবে ঠিক কখন বয়ঃসন্ধিকাল শুরু বা শেষ হবে তার ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। বয়ঃসন্ধির সময়টা একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম হতে পারে। কারো হয়তো ৮ বছরে, কারোবা ১৯ বছরের পরেও হতে পারে। পরিবেশ, স্বাস্থ্য, খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপনের ধরন এসবের প্রভাবে বয়ঃসন্ধিকালের সময় কমবেশি হতে পারে।
সাধারণত ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকাল আগে শুরু হয়। মেয়েদের আট থেকে তেরো বছর বয়সের মধ্যে বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হয়। ছেলেদের বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হয় দশ থেকে পনেরো বছর বয়সে। কারো কারো ক্ষেত্রে এর আগে বা পরেও বয়ঃসন্ধিকাল শুরু হতে পারে।
Advertisement
এসইউ/জিকেএস