লাইফস্টাইল

সিঙ্গেলদের কি আজ মন খারাপ

সানজানা রহমান যুথী

Advertisement

গতকাল থেকেই সিঙ্গেলদের মন খারাপ। কারণ ১৪ ফেব্রুয়ারি ছিল ভালোবাসা দিবস—প্রেমিক-প্রেমিকাদের জন্য বছরের সবচেয়ে রোমান্টিক দিন। একদিকে ফুল, চকলেট, রেস্টুরেন্টে স্পেশাল ডেট, অন্যদিকে সিঙ্গেলদের জন্য শুধুই ফেসবুকের ভালোবাসাময় পোস্ট দেখা।

এ নিয়ে প্রতি বছরই তাদের মাঝে এক প্রকার মন খারাপের রেশ দেখা যায়। এর রেশ ধরেই প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গেলরা নানাবিধ বিক্ষোভ মিছিল করেন। তবে জানেন কি? সিঙ্গেলদের জন্যও আছে একটি বিশেষ দিন!

সেই বিশেষ দিনটি হলো ‘সিঙ্গেল অ্যাওয়ারনেস ডে’। এটি সংক্ষেপে স্যাড ডে নামে পরিচিত। এটি সিঙ্গেল থাকা ব্যক্তিদের জন্য ভালোবাসা দিবসের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে। প্রতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি দিনটি উদযাপন করা হয়। যাকে বাংলায় ‘সিঙ্গেল সচেতনতা দিবস’ বলা হয়।

Advertisement

‘একক সচেতনতা দিবস’ হলো নিজের আত্মাকে প্রাধান্য দেওয়া, নিজেকে ভালোবাসা ও নিজের সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা নিবেদন জানানো। আপনি যে কোনো সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে নিতে পারেন। যেটা হয়তো অনেক যুগলই করতে পারেন না প্রিয়জনের মন রক্ষার্থে। দিনটি সিঙ্গেলদের প্রতি কোনো করুণা নয়। তাই দিনটি সিঙ্গেলদের জন্য একটি সুবর্ণসুযোগ। নিজের সিঙ্গেল জীবন উদযাপন করার জন্য। তাই দিনটিকে সিঙ্গেল অ্যাপ্রেসিয়েশন ডে-ও বলা হয়।

সিঙ্গেল অ্যাওয়ারনেস ডের ইতিহাস

২০০১ সালে ডাস্টিন বার্নস নামে এক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র তার বন্ধুদের সাথে একটি দল গঠন করার সিদ্ধান্ত নেন। যাতে অবিবাহিত থাকার দুঃখে ডুবে না থেকে তারা অবিবাহিত জীবন উদযাপনের জন্য একটি দিনকে বেছে নিতে পারেন। তারা ভালোবাসা দিবসের প্রতিবাদ হিসেবে ১৫ ফেব্রুয়ারিকে বেছে নিয়েছিলেন। প্রচারণার জন্য বিশাল ছাড়ে ক্যান্ডি এবং চকলেট বিক্রি শুরু করেছিলেন।

আরও পড়ুন

অবসর সময় কাটাবেন যে কারণে ১৮ প্লাস হয়েও যে কারণে আপনি একা

ডাস্টিন হাই স্কুল থেকে মিসিসিপি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ঐতিহ্যটি স্থানান্তর করেন। যেখানে এটি খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এ কারণে ২০১৫ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘একক সচেতনতা দিবস’ হিসেবে কপিরাইট করা হয়। তারপর থেকে দিনটি বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

Advertisement

সিঙ্গেলরা দিনটি যেভাবে কাটাতে পারেন

১. সিঙ্গেলদের জন্যও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ সংগঠন আছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। সংগঠনটি হলো চিরকুমার সংঘ। আপনি এ সংগঠনের সদস্য না হয়ে থাকলে সংগঠনের সদস্য হয়ে আপনার মতো সিঙ্গেলদের সাথে দিনটি কাটাতে পারেন।

২. নিজের পছন্দের জায়গাটিতে ঘুরে আসতে পারেন।

৩. নিজের পছন্দের বই পড়তে পারেন।

৪. নিজের পছন্দের খাবার বানিয়ে খেতে পারেন। চাইলে তা পথশিশুদের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারেন। যা আপনাকে একপ্রকার মানসিক শান্তি দেবে।

৫. দিনটি কিভাবে কাটালেন, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারেন। এ ছাড়া নিজের মনমতো যা কিছু পোস্ট করতে পারেন।

অনেকেই ভাবেন, সিঙ্গেল থাকা মানেই একাকিত্ব। কিন্তু আদতে এটি আত্মনির্ভরতার প্রতীক। কারণ অনেক সময় বিবাহিতরাও তাদের পরিবারের সদস্যদের চাপে একঘেয়ে হয়ে যান। তখন তারা চাইলেও সিঙ্গেল জীবনে ফিরে যেতে পারেন না। সেখানে সিঙ্গেলরা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। নিজের সময়টা নিজেদের মতো উপভোগ করতে পারেন।

তাই আজকের দিনটি কেবল সিঙ্গেলদের জন্য নয় বরং সবাইকে মনে করিয়ে দেয়—নিজেকে ভালোবাসা, নিজের সময় উপভোগ করাটাই আসল।

এসইউ/এমএস