দেশজুড়ে

এবার বাবাকে গরম তেলে ঝলসে দিলো হত্যার শিকার সেই লামিয়ার বোন

ফেনীর পরশুরামে নিজ বাসায় স্কচটেপ দিয়ে হাত-পা ও কালো কাপড় দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে শিশু লামিয়াকে শ্বাসরোধে হত্যা করে হেলমেট পরা দুই যুবক। এসময় নুর নবীর অপর মেয়ে পালিয়ে কৌশলে বেঁচে যায়।

Advertisement

এবার সেই লামিয়ার বাবাকে গরম তেলে ঝলসে দেওয়ার অপরাধে অপর মেয়ে ও মেয়ের মামাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (২ মার্চ) দুজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় মডেল থানা পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন- মো. নুর নবীর কিশোরী মেয়ে (১৩) ও তার শ্যালক মো. জাবেদ।

আহত মো. নুর নবী জানান, শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় মুখ ও শরীরে উত্তপ্ত সয়াবিন তেল ছুড়ে মারে তার মেয়ে। এতে তার মুখসহ শরীরের এক অংশ ঝলসে যায়। পরে তিনি তার স্ত্রীর মাধ্যমে ৪ জনকে আসামি করে পরশুরাম মডেল থানায় মামলা করেন।

Advertisement

মামলার আসামিরা হলেন- নুর নবীর কিশোরী মেয়ে, শ্যালক মো. জাবেদ, শ্বশুর মনির আহমদ ও ভাই আবদুর রহমান। নুর নবী ও তার ভাই আবদুর রহমান মনির আহমদের দুই মেয়েকে বিয়ে করেন।

এদিকে মামলার বিবাদী ও মো. নুর নবীর ভাই আবদুর রহমান বলেন, আমি, আমার শ্বশুর মনির আহমদ ও শ্যালক মো. জাবেদ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। আমাদেরকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। লামিয়া হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে এই ঘটনা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

জানা গেছে, লামিয়ার মৃত্যুর ১ বছর পার হলেও তার হত্যার বিচার এখনো হয়নি। এরমধ্যে লামিয়ার ছোট বোন তার বাবাকে গরম তেল নিক্ষেপ করে ঝলসে দিয়েছে। দগ্ধ মো. নুর নবীকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লামিয়া ও তার বোন মো. নুর নবীর প্রথম স্ত্রীর সন্তান।

পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম জানান, বাবাকে গরম তেল নিক্ষেপের মামলায় মেয়ে ও তার মামাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত চলমান আছে।

Advertisement

২০২৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পরশুরাম পৌরসভার পশ্চিম বাঁশপদুয়া এলাকার কলাবাগানে নিজ বাসায় স্কচটেপ দিয়ে হাত, পা ও কালো কাপড় দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে মো. নুর নবীর মেয়ে শিশু লামিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে হেলমেট পরা দুই যুবক। এসময় নুর নবীর অপর মেয়ে পালিয়ে কৌশলে বেঁচে যায়।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/এফএ/জিকেএস