মূলত ফুটবলের দেশ হিসেবেই দুনিয়াজুড়ে নন্দিত দক্ষিণ আমেরিকার শক্তিশালী দেশ ব্রাজিল। তবে সিনেমার জন্যও বেশ প্রশংসিত পেলে-রোনালদোদের দেশটি। বিশ্বের নানা প্রান্তের উৎসব-আয়োজনে ব্রাজিলের সিনেমাগুলোকে দেখা যায় অংশ নিতে। জয় করে পুরস্কার-স্বীকৃতিও।
Advertisement
এবার ব্রাজিল বাজিমাত করে দিলো অস্কারের মঞ্চে। আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম বিভাগে পুরস্কার জিতেছে ‘আই অ্যাম স্টিল হিয়ার’। এরমধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম বিভাগে জয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করলো দেশটি।
এই গুরুত্বপূর্ণ অর্জন ব্রাজিলিয়ান চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য মাইলফলক বলে মনে করছেন চলচ্চিত্রবোদ্ধারা।
ওয়াল্টার সালেস পরিচালিত এই হৃদয়স্পর্শী নাট্যচিত্রটি ইউনিস পাইভার নামের এক নারীর জীবনের গল্পকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে। এটি ব্রাজিলের সামরিক স্বৈরশাসনের সময় তার স্বামীর রহস্যজনক অন্তর্ধানের পর কয়েক দশক ধরে ন্যায়বিচারের জন্য তার সংগ্রাম তুলে ধরে। চলচ্চিত্রটি ব্রাজিলের সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা তুলে ধরেছে।
Advertisement
এটি অস্কারে সেরা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বিভাগে চমকপ্রদ মনোনয়ন পাওয়ার পর ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। ছবির প্রধান অভিনেত্রী ফার্নান্দা টরেসও সেরা অভিনেত্রীর জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
পুরস্কার জিতে পরিচালক ওয়াল্টার সালেস বলেন, ‘এই পুরস্কার সেই নারীর জন্য, যিনি এক স্বৈরশাসনের সময় ভয়ানক ক্ষতির শিকার হয়েও ভেঙে পড়েননি। তিনি প্রতিরোধ করেছেন, লড়াই চালিয়ে গেছেন। তাই, এই পুরস্কার তার জন্য। এটি আরও দুই অসাধারণ নারীর জন্য আমি উৎসর্গ করছি যারা তার চরিত্রটিকে চলচ্চিত্রে প্রাণ দিয়েছেন। তারা হলেন ফার্নান্দা টরেস এবং ফার্নান্দা মন্টেনেগ্রো।’
আন্তর্জাতিক ফিচার বিভাগে এবার বেশকিছু আলোচিত ছবি মনোনয়ন পেয়েছিল। তারমধ্যে ফ্রান্সের ‘এমিলিয়া পেরেজ’, জার্মানির ‘দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ’, ডেনমার্কের ‘দ্য গার্ল উইথ দ্য নিডল’ এবং লাটভিয়ার ‘ফ্লো’ ছবিগুলোকে হারিয়ে পুরস্কার জিতে নিলো ব্রাজিলের ছবি ‘আই অ্যাম স্টিল হিয়ার’।
এলআইএ/এএসএম
Advertisement