একা এক ইবরাহিম জাদরানকে মোকাবেলা করতে করতেই নাভিশ্বাঃস উঠলো ইংল্যান্ডের মত শক্তিশালী দেশের বোলারদের। জোফরা আরচার, মার্ক উড, জেমি ওভারটন, আদিল রশিদ কিংবা জো রুট- একের পর এক বোলার পরিবর্তন করেও সাফল্য বয়ে আনতে পারেননি জস বাটলার।
Advertisement
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি এবং আফগানিস্তানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েই সাজঘরে ফিরেছেন ইবরাহিম জাদরান। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এই ওপেনারের ১৭৭ রানের ওপর ভর করে ইংল্যান্ডকে ৩২৬ রানের বিশাল লক্ষ্য দিলো আফগানিস্তান।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের উইকেটে রান ওঠে। এ কারণে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চরম বিপদে পড়ে আফগানরা। ৩৭ রানে হারায় ৩ উইকেট। ৬ রান করে বিদায় নেন আরেক বিধ্বংসী ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজ।
এরপর দলীয় ১৫ রান এবং ব্যক্তিগত ৪ রানের মাথায় আউট হয়ে যান সেদিকুল্লাহ অটল। দলীয় ৩৭ রানে বিদায় নেন আরেক প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার রহম শাহ। তারও রান ছিল তখন ৪।
Advertisement
এরপর ইংলিশ বোলারদের সামনে ঘুরে দাঁড়ান ইবরাহিম জাদরান এবং অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি। দু’জন মিলে গড়ে তোলেন ১০৩ রানের অনবদ্য এক জুটি। ৬৭ বল খেলে ৪০ রান করে বিদায় নেন হাশমতউল্লাহ। আজমতউল্লাহ ওমরজাই এবং ইবরাহিম জাদরান মিলে গড়েন ৭২ রানের জুটি। ৩১ বলে ৪১ রান করে দলীয় ২১২ রানের মাথায় আউট হয়ে যান ওমরজাই।
এরপর মোহাম্মদ নবি এবং ইবরাহিম জাদরান মিলে গড়েন ১১১ রানের আরেকটি অনবদ্য জুটি। দলীয় ৩২৩ রানের মাথায় আউট হন ইবরাহিম। লিয়াম লিভিংস্টোনের করা একটি স্লো হাফ-ভলিকে সুইপ শটে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ ব্যাকওয়ার্ডে জোফরা আরচারের হাতে ধরা পড়েন ইবরাহিম।
এরপর ২৪ বলে ৪০ রান করে আউট হন মোহাম্মদ নবি। গুলবাদিন নাইব ও রশিদ খান ১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৭ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তান সংগ্রহ করে ৩২৫ রান। জোফরা আরচার নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। ২টি নেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ১টি করে নেন জেমি ওভারটন ও আদিল রশিদ।
আইএইচএস/
Advertisement