ক্ষমতায় থেকে নতুন দল করলে লোকে কিংস পার্টি বলবে, জনগণও এটা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা অন্যান্য দলকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। লক্ষ্য আমাদের একটাই-দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করা। সবাই ধৈর্য ধরেন। একটা ফ্যাসিস্টকে সরানো হয়েছে। আমরা চাই এই সরকার যেন অবশ্যই নির্বাচন সম্পন্ন করে। আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই।
Advertisement
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে ধামরাই উপজেলার যাত্রাবাড়ী মাঠে বিএনপির সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি ও রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন দাবিতে এই সমাবেশে আয়োজন করে ঢাকা জেলা বিএনপি।
এসময় ফখরুল বলেন, নতুন সুযোগ যেন আমরা হেলায় না হারাই সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারণ শত্রুরা দেশে বিভিন্ন রকম টোপ ফেলছে। ট্রাপ করছে যাতে আমরা উত্তেজিত হয়ে যাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। তাই দেশ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে নিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
Advertisement
আরও পড়ুন
২৮ ফেব্রুয়ারি আসছে নতুন রাজনৈতিক দল নতুন দলের জন্য নাম-প্রতীক চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা আমরা বার বার বলছি তাড়াতাড়ি নির্বাচন দিন: মির্জা ফখরুলখালেদা জিয়া ও তারেক রহমান গণতন্ত্রের জন্য কোনো আপস করেননি বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপিকে ভেঙে ফেলার বার বার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। কিন্তু বিএনপিকে ঠেকানো যাবে না। শেখ হাসিনা তার দল ও দেশের দিকে না তাকিয়ে পালিয়ে গেছেন। তার ওপর দেশের মানুষের আস্থা নেই। অথচ খালেদা জিয়া বার বার বলেছেন এই দেশ থেকে কোথাও যাবো না। যাবেন না বলেই তিনি ৬ বছর কারাগারে ছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে দেশের রাজনীতি ধ্বংস করেছে। শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো দলই রাখতে চায়নি। ২০১৪ সালে মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি, কেন্দ্রে শুধুমাত্র কুকুর দেখা গেছে। অনেকেই নাম দিয়েছি কুত্তা মার্কা নির্বাচন। ২০১৮ সালে নিশিরাতে নির্বাচন ও ২০১৪ সালে ডামি নির্বাচন করেছিল পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। তিনি ভারতে বসে আবারও দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে চলেছেন।
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইদুল আলম বাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, নজরুল ইসলাম আজাদ, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াসিন ফেরদৌস মুরাদ, ধামরাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি তমিজ উদ্দিন, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান অভি প্রমুখ।
Advertisement
কেএইচ/এমআইএইচএস/এমএস