আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য ইএমই কোরের সব সদস্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
Advertisement
প্রত্যেক সদস্য আগামী দিনে দেশসেবার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
ইএমই কোরের বার্ষিক অধিনায়ক সম্মেলনে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সৈয়দপুর সেনানিবাসস্থ ইএমই সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে (ইএমইসিঅ্যান্ডএস) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন রাজশাহীতে প্রাক্তন ক্যাডেটদের পুনর্মিলনীতে সেনাপ্রধান ১৫ দিনে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার ৮০৭৯আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
Advertisement
আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী প্রধান ইএমই সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে পৌঁছালে তাকে জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড; নবনিযুক্ত কর্নেল কমান্ড্যান্ট, ইএমই কোর; জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার রংপুর এরিয়া ও কমান্ড্যান্ট ইএমইসিঅ্যান্ডএস অভ্যর্থনা জানান।
সেনাবাহিনী প্রধান সম্মেলনে উপস্থিত ইএমই কোরের ইউনিটের অধিনায়ক এবং অন্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কোরের তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উন্নয়নকল্পে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ইএমই কোরের গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহ্য এবং দেশমাতৃকার সেবায় ইএমই কোরের অবদানের কথা উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড; সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা; কমান্ড্যান্ট, ইএমই সেন্টার অ্যান্ড স্কুল; বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব ইএমই ইউনিটের অধিনায়করা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
গতকাল ২২ ফেব্রুয়ারি ইএমইসিঅ্যান্ডএসে ইএমই কোরের ‘১২তম কর্নেল কমান্ড্যান্ট’ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এস এম জিয়া-উল-আজিম। সৈয়দপুর সেনানিবাসস্থ শহীদ ক্যাপ্টেন নুরুল আবসার প্যারেড গ্রাউন্ডে যথাযোগ্য সামরিক ঐতিহ্য ও রীতি অনুযায়ী ইএমই কোরের ‘কর্নেল কমান্ড্যান্ট অভিষেক অনুষ্ঠান’ সম্পন্ন হয়।
এসময় ইএমই কোরের সব ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল নবনিযুক্ত কর্নেল কমান্ড্যান্টকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।
টিটি/এমকেআর/জিকেএস