থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাজ ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার তদারকির জন্য উপজেলা পর্যায়ে একজন সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) ‘উপজেলা জননিরাপত্তা অফিসার’ হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
Advertisement
কমিশনের প্রতিবেদনের নির্বাহী সারসংক্ষেপ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। এরপর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং প্রতিবেদনটির নির্বাহী সারসংক্ষেপ প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, উপজেলা পর্যায়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট পুনঃস্থাপন করা হলে সাধারণ নাগরিকদের অনেক বেশি উপকার হবে। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ গ্রহণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন
Advertisement
সারসংক্ষেপে বলা হয়, থানার ‘অফিসার ইনচার্জ’ এর কাজ ও সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষার তদারকির জন্য উপজেলা পর্যায়ে একজন সহকারী পুলিশ সুপারকে ‘উপজেলা জননিরাপত্তা অফিসার’ হিসেবে পদায়ন করা যেতে পারে। এর ফলে থানার জবাবদিহি আরও বাড়বে বলে আশা করা যায়।
কমিশন সুপারিশে আরও বলেছে, বর্তমানে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে পুলিশ অফিসাররা দায়িত্ব পালন করে থাকে। পুলিশ অফিসারদের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণ অনেক সময় যাত্রীবান্ধব হয় না। বিশ্বের বহু দেশে পুলিশের পরিবর্তে আলাদা ইমিগ্রেশন অফিসার নিয়োগ করা হয়। বাংলাদেশেও যোগ্যতার ভিত্তিতে পৃথক ইমিগ্রেশন অফিসার নিয়োগ করার সুপারিশ করা হলো। তবে পুলিশ থেকে ২০ শতাংশ ডেপুটেশনে রাখা যেতে পারে। ইমিগ্রেশন অফিসারদের দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা যেতে পারে।
আরএমএম/এমএএইচ/জিকেএস
Advertisement