গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে মেয়ের ওপর নির্যাতন ও নিজের কান কেটে মিথ্যা মামলায় শ্বশুর-শাশুড়িকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে জামাইয়ের বিরুদ্ধে।
Advertisement
এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন শাশুড়ি আসমা বেগম।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ বরাশুরের নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযাগ করেন ওই নারী।
ভুক্তভোগী আসমা বেগম জানান, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য তার মেয়ে মারুফাকে নির্যাতন করতেন জামাই রমজান মোল্যা ও তার পরিবারের সদস্যরা। এর মাঝে একটি পুত্র সন্তান হলেও থেমে থাকেনি নির্যাতন। একপর্যায়ে জামাই রমজান মোল্যা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ আদালতে মামলা করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রমজান মোল্যা নিজের কান কেটে গোপালগঞ্জ আদালতে একটি মিথ্যা মামলা করেন।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘রমজান নিজের কান কেটে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। ওই মামলায় বৃদ্ধ বয়সে জেলে যেতে হলো। ৩০ জানুয়ারি আদালত আমাকে জামিন দিলেও আমার স্বামী এখনো জেলে আছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আসমা বেগম জানান, তার স্বামী পেশায় একজন কৃষক। আলসারজনিত কারণে কিছু দিন আগে তার অপারেশন হয়েছে। এসময় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চেয়ে স্বামীর মুক্তি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী রমজান মোল্লা বলেন, ‘তারা যে তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সব মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে হামলা করার সময় আমার শ্বশুরবাড়ির এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলন। তাদের কাছে শুনলেই বুঝতে পারবেন।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাশিয়ানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপঙ্কর স্যানাল বলেন, রমজান মোল্লা বাদী হয়ে আদালতে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে কাশিয়ানী থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টির তদন্ত চলছে।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে আসমা বেগমের মেয়ে মারুফা বেগম, চাচি চয়নিকা বেগম, মরিয়ম বেগম ও মোমেনা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
আশিক জামান অভি/এসআর/এএসএম