মতামত

হেফাজতে মৃত্যু থামাবে কে?

প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের ‘আমি বাংলার গান গাই’ গেয়ে দারুণ জনপ্রিয় মাহমুদুজ্জামান বাবুর একটি গান ‘রাজা যায় রাজা আসে’। তার একটি কয়েকটি লাইন:

Advertisement

‘গাছে গাছে পাখি গান গায়ফুল বাগানে ফুল ফুটে রয়তবু একদিন খবর আসেনিরাপদ হেফাজতেএকজন সীমা চৌধুরীনিরাপদে মারা যায়।’

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো নাগরিককে আটক বা গ্রেপ্তারের পরে তার সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব ওই বাহিনীর। যে কারণে শব্দটি নিরাপত্তা হেফাজত। অর্থাৎ যে হেফাজত তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ইংরেজিতে বলা হয় সেইফ কাস্টোডি। কিন্তু বারবার এই নিরাপত্তা হেফাজত নাগরিকদের জন্য এতটাই অনিরাপদ হয়েছে যে, সেখানে অসংখ্য মানুষের প্রাণ গেছে এবং বারবারই সংশ্লিষ্ট বাহিনীর তরফে দাবি করা হয়েছে, ভুক্তভোগী হার্ট অ্যাটাক করেছেন।

এই ধরনের ঘটনা বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনী, পুলিশ, সেনাবাহিনী বা যৌথ বাহিনীর হাতে তো বটেই, খোদ কারাগারেও ঘটেছে। কিন্তু দুয়েকটি ব্যতিক্রম বাদ দিলে কোনো ঘটনারই বিচার হয়নি। কারণ রাষ্ট্রীয় কোনো বাহিনীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত বা আনীত অভিযোগের বিচারের জন্য যে ধরনের সুষ্ঠু ও পক্ষপাতমুক্ত তদন্ত হওয়ার কথা— সেখানেই বড় ধরনের ঘাটতি রয়ে গেছে। যে কারণে নির্যাতনে কারো মৃত্যু হলেও সেটি অনায়াসে হার্ট অ্যাটাক বলে চালিয়ে দিয়ে পার পাওয়া গেছে।

Advertisement

হেফাজতে মৃত্যুর সবশেষ ঘটনাটি ঘটলো কুমিল্লায়। যিনি নিহত হলেন তার নাম তৌহিদুল ইসলাম। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক ছিলেন। পরিবার বলছে, তৌহিদ রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন বলে আওয়ামী লীগ আমলে এলাকায় থাকতে পারতেন না। চট্টগ্রামে চাকরি করতেন। কয়েক দিন আগে বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে তার বাবার কুলখানির আয়োজন নিয়ে কাজ করছিলেন পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে। মধ্যরাতে যৌথ বাহিনীর একটি দল এসে তাকে ধরে নিয়ে যায়। তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় সেনা সদস্যরা বলেছিলেন যে, নির্দোষ হলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। শুক্রবার সকালেও সেনাবাহিনী তার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালায়। কিন্তু তারপরেই তৌহিদের মৃত্যু খবর আসে। তিনি চার কন্যা সন্তানের পিতা।

পরিবারের অভিযোগ, তারা হাসপাতালে তৌহিদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন। তাদের দাবি, রাজনীতি করলেও তৌহিদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিলো না। ফলে তার মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। স্থানীয় বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা তার মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে বিএনপির তরফেও। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবি করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়েও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যদি ওই ছেলেটি অপরাধী হয় তাহলে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু গ্রেপ্তার করে ভয়াবহ ‘টর্চার’ করে মেরে বাবা-মার কাছে ফেরত দেওয়া– এই আমলে হবে কেন? প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সখ্যের কথা তুলে ধরে এই বিএনপি নেতা বলেন, তাকে দেশের মানুষ পছন্দ করে, দেশের একজন গুণী মানুষ যিনি আন্তর্জাতিক সম্মান অর্জন করেছেন, তার সময়ে যদি শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন দুষ্কর্ম এবং অত্যাচারের পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে তো হোঁচট খাবে জনগণ।

অতীতের ঘটনাগুলোর সঙ্গে এবারের ঘটনাটির একটি সুস্পষ্ট পার্থক্য হলো, এবার এই ঘটনায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পয়লা ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়ছে: ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার যেকোনো ধরনের হেফাজতে নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডকে কঠোরভাবে নিন্দা জানায়। জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবাধিকার নিশ্চিত করাই এই সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে। এর বেশিরভাগই ইতিমধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সরকার এই প্রতিবেদনগুলোর ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অর্থবহ সংলাপ করবে, যাতে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ, অপরাধ ব্যবস্থাপনা ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুযোগ পুরোপুরি নির্মূল করা যায়।’

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর পক্ষ থেকেও তৌহিদের মৃত্যুকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক’ উল্লেখ করে ঘটনাটি তদন্তে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, কুমিল্লার সংশ্লিষ্ট সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেইসাথে মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠনের কথাও জানানো হয়েছে। আইএসপিআর বলছে, তদন্তে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবশ্য বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তৌহিদকে আটকের কথা বললেও অভিযোগগুলো কী তা উল্লেখ করেনি।

Advertisement

তারপরও এটি একটি বড় অগ্রগতি যে, রাষ্ট্র অন্তত এই ধরনের ঘটনায় নিরব থাকছে না বা প্রশ্রয় দিচ্ছে না। যদি রাষ্ট্র এই বিষয়ে সত্যি সত্যিই আন্তরিক হয় এবং সরকার যদি মনে করে যে, আর একটিও হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটবে না, তাহলে কুমিল্লার এই ঘটনাটিরই শুধু নয়, বরং গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরে আরও যেসব ঘটনা ঘটেছে—সেগুলোরও সুষ্ঠ ও পক্ষপাতমুক্ত তদন্ত করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কেননা এরকম ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে আরও ঘটেছে।

যেমন গত বছরের সেপ্টেম্বরে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় যৌথ বাহিনীর হাতে আটকের পর দুজনের মৃত্যু হয় এবং এ ঘটনায় ১২ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, আটকের পরে রাতভর তাদের নির্যাতন করা হয়েছে। গণমাধ্যমের খবর বলছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে যৌথ বাহিনী সাঘাটা উপজেলার ভরতখালীহাটে অভিযান চালায়। এ সময় ওই এলাকার গোবিন্দি ও বাঁশহাটি থেকে ইউপি চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরদিন সোহরাব হোসেন আপেল (৩৫) ও শফিকুল ইসলাম (৪৫) নামে দুজনের মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি, আটকের পর অসুস্থতাজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। সোহরাব হোসেন সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইটের ভাতিজা এবং শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যানের বাড়িতে কাজ করতেন।

এর দুদিন আগে গোপালগঞ্জে এলাহী শিকদার (২০) নামে এক তরুণের মৃত্যু নিয়েও অভিযোগ ওঠে। গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর রাতে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর একটি টিম এলাহীকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। মৃত্যুর পরে তার কিছু ছবি দেখা গেছে, যেখানে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত এলাহী শিকদার কাশিয়ানী উপজেলার নিজামকান্দী ইউনিয়নের ফলসি বাজারে পুরি সিঙাড়া বিক্রি করতেন।

১৬ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহে যুবদল নেতা সাইদুল ইসলাম যৌথ বাহিনীর হেফাজতে মারা যান। ৭ ডিসেম্বর ডাকাতির অভিযোগে আটক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হযরত আলীর মৃত্যুর কারণ হিসাবে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ আসে। গত ১৩ জানুয়ারি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলায় ছাত্রদলের সাবেক নেতা আব্দুর রহমানও যৌথ বাহিনীর নির্যাতনে মারা যান।

এরকম বাস্তবতায় গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্বিচারে আটক, আটকের পর নির্যাতন করে হত্যা, তল্লাশির নামে হয়রানি, আন্দোলনে গুলি চালানোসহ যৌথ বাহিনীর কর্মকাণ্ড নাগরিকের জানমাল ও আইনী সুরক্ষার জন্য হুমকিস্বরূপ।’ বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি না হলেও যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। আওয়ামী শাসনামলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের যে ভয়াবহ সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার ধারাবাহিকতা রক্ষা করছে কি না—সেই প্রশ্নও তোলা হয়। অভ্যুত্থানের ছয় মাস পরও সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা সরকারের ব্যর্থতার বহিঃপ্রকাশ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার ২০ দিনের মাথায় ২৯ আগস্ট বহুল আলোচিত গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক কনভেনশনে সই করে বাংলাদেশ। এর দুই সপ্তাহের মাথায় ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এই সনদে স্বাক্ষর করার মধ্য দিয়ে ‘গুম সংস্কৃতি’র সমাপ্তি ঘটানোর জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছে।

গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক কনভেনশনে সই করার মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার তথা বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলো, সেটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। কিন্তু তারপরও এই সরকারের আমলে এমন কিছু ঘটনা ঘটছে, যা প্রধান উপদেষ্টার ওই বক্তব্য এবং মানবাধিকারের পক্ষে তার শক্ত অবস্থানকে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

রাষ্ট্রের যেকোনো বাহিনীর হাতে আটক বা গ্রেপ্তারের নির্যাতনে কারো মৃত্যু হলে বছরের পর বছর ধরে যে ধরনের বিবৃতি বা ব্যাখ্যা দেয়া হতো—এই সরকারের আমলে অন্তত সেখানে কিছুটা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে, এটি ভালো লক্ষ্মণ। তবে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর এবং সামরিক বাহিনীর তরফে এই ধরনের পদক্ষেপ যদি সামাজিক ও রাজনৈতিক চাপ মোকাবেলার অংশ হয়—তাহলে সেটি দুঃখজনক।

প্রশ্ন হলো, ২০১৩ সালে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিবারণ আইন সংসদে পাস হওয়ার এক যুগ পরেও কেন হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু ‍পরোপুরি বন্ধ করা গেল না? এই আইনে সংশ্লিষ্ট পুলিশ বা অন্য কোনো বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে কয়টি মামলা হয়েছে? সেই মামলার পরিণতিই বা কী? এরকম একটি কঠোর আইন থাকার পরেও কেন হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু বন্ধ হচ্ছে না? রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও সংস্থাগুলো কি এই আইন পাত্তা দিচ্ছে না, নাকি অপরাধ করেও পার পেয়ে যাওয়া তথা সুরক্ষার নিশ্চয়তা রয়েছে বলে তারা আইনের তোয়াক্কা করছে না?

একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য যে সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করলো, তাদের কাছে দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনেক। অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে যে সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং যার অংশ হিসেবে সংবিধান, নির্বাচন, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি ও আর্থিক খাত সংস্কারের জন্য বিভিন্ন কমিশন ও টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, সেই ধারাবাহিকতায় দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতেও সংস্কার আসবে; নাগরিকের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিধানকারী বাহিনীগুলোর সদস্যরা মানবাধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার থাকবেন; দল-মত-বয়স ও লিঙ্গনির্বিশেষে তারা সকল নাগরিকের প্রতি সংবেদনশীল থাকবেন এমনকি অপরাধীর মানবাধিকারের প্রতিও খেয়াল রাখবেন—এটিই প্রত্যাশা।

লেখক : সাংবাদিক ও লেখক।

এইচআর/এমএস