বাংলাদেশের সব থেকে বড় সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, পূজায় দেশ-বিদেশ থেকে হাজারও পুণ্যার্থী এসে জড় হয়েছেন।
Advertisement
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট এবং অনুষদ তাদের নিজ নিজ মণ্ডপ নিয়ে বসেছেন। এসব মণ্ডপ সেজেছে একেকটি বিভাগের নিজস্ব সৃজনশীল কারুকাজের সাজে। কোনটি ছোট আবার কোনটি বড়।
এছাড়াও জগন্নাথ হলের উপাসনালয় প্রাঙ্গণ সংলগ্ন পুকুরে স্থাপন করা হয়েছে সবচেয়ে বড় প্রতিমা। চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের বানানো এই প্রতিমা প্রতি বছর পুণ্যার্থীদের নজর কাড়ে। বাঁশ-বেতের বিভিন্ন অংশজুড়ে দিয়ে প্রতিমা বানানো হলেও সৃজনশীল সাজসজ্জার কমতি নেই। জগন্নাথ হলের মাঠে মোট ৭৩টি বিভাগের আয়োজনে বসেছে ৭৩টি মণ্ডপ এবং হলের কর্মচারীদের আরেকটি মণ্ডপসহ মোট ৭৪টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জগন্নাথ হল ছাড়াও মেয়েদের পাঁচটি হলে আয়োজন করা হয়েছে পূজার। সব মণ্ডপে পূজা শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে। এরপর বেলা ১১টায় শুরু হয় অঞ্জলি, যা চলবে ১টা পর্যন্ত। পরের দিন অনুষ্ঠিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পূজার সার্বিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধানে জগন্নাথ হল প্রশাসনের মোট ১১টি উপ-কমিটি কাজ করছে।
Advertisement
আরও পড়ুন
সরস্বতী পূজা আজপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দেবাশীস পাল বলেন, গত জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা বৈষম্যহীন ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার এক মহান প্রত্যয় গ্রহণ করেছি। এবারের সরস্বতী পূজা তাই এক ভিন্ন আঙ্গিকে আয়োজিত হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হলের উপাসনালয়ে দুদিনব্যাপী এ আয়োজনের মধ্যে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা, রক্তদান কর্মসূচি, ইত্যাদি রয়েছে। এছাড়াও হলের অভ্যন্তরে দর্শনার্থী শিশু-কিশোরদের চিত্তবিনোদন উপযোগী বেশ কিছু রাইড, খেলনা ও বিশুদ্ধ খাবার দোকানের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। আগত পুণ্যার্থীদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত আছে।
নিরাপত্তার ব্যাপারে পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মিঠুন কুমার সাহা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনের সার্বক্ষণিক ও কার্যকর তত্ত্বাবধানের মাধ্যমে জগন্নাথ হল প্রশাসন হল উপাসনালয়ে তথা পূজামণ্ডপ থেকে শুরু করে সমগ্র হল প্রাঙ্গণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় লোকবল ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে আমাদের পাশে রয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), শাহবাগ থানা, ফায়ার সার্ভিস, বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা এজেন্সি। এজন্য আমরা জগন্নাথ হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবার প্রতি ধন্যবাদ জানাই।
এমএইচএ/এমআরএম/এমএস
Advertisement