ফিক্সিং ইস্যু নিয়ে বিসিবির কোনো দায়িত্বশীল কর্তা এখন পর্যন্ত দায়িত্ব নিয়ে বলেননি যে, এনামুল হক বিজয়সহ ১০ বা তার বেশি সংখ্যক ক্রিকেটার ফিক্সিং করেছেন। তবে, দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক বিজয়, ঢাকা ক্যাপিটালসের অধিনায়ক থিসারা পেরেরা, চিটাগং কিংসের দলনেতা মোহাম্মদ মিঠুন এবং সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক আরিফুল হকসহ এক ডজনের বেশি সংখ্যক ক্রিকেটারের মাঠের আচরণ সন্দেহজনক; এমন খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে।
Advertisement
আজ শনিবার সে খবরের সাথে যোগ হয়েছে এক নতুন তথ্য, তা হলো-রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়ের ওপর সন্দেহটা বেশি। তাই তার বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
একাধিক গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে শনিবার সারা দিন ফেসবুক-টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় চলছে। সত্যিই কি বিজয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে? তা জানতে মিডিয়ার তৎপরতা অব্যাহত।
দুপুরে শেরেবাংলায় যখন খুলনা টাইগার্স ও ঢাকা ক্যাপিটালসের ম্যাচ চলছিল, তখন প্রেস বক্সে বসা সাংবাদিকদের বড় অংশ বিসিবি এবং বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনে ফোন করে খবরটির সত্যতা জানার চেষ্টা করছিল।
Advertisement
বিসিবির কর্তারা কেউ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তবে সন্ধ্যার ঠিক আগে বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব নাজমুল আবেদিন ফাহিম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা প্রেস রিলিজ দিয়ে জানিয়ে দেব।
অবশেষে সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রেস রিলিজে বিসিবি তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। সেখানে বেশ জোর দিয়ে বলা হয়েছে, বিজয় বা কোনো ক্রিকেটারের দেশত্যাগের বিষয়ে বিসিবি কিছু জানে না। কোনো ক্রিকেটারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির খবরটাও বিসিবি অবগত নয়।
তবে বিসিবির সরবরাহ করা প্রেস রিলিজে পুরো ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য বিসিবির দুর্নীতি দমন সংস্থার (আকু) সাথে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠনের কথাও জানানো হয়েছে।
বিসিবির দেওয়া প্রেস রিলিজে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিসিবির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট (আকু) নিবিড়ভাবে সব পর্যবেক্ষণ করছে। ফিক্সিংসহ কোনো রকম অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী এবং কোনো অসৎ কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। এ ব্যাপারে বিসিবি শূন্য সহনশীলতা (জিরো টলারেন্স) নীতি অনুসরণ করছে।
Advertisement
এআরবি/এমএমআর/জেআইএম