দেশজুড়ে

প্রসূতির জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে প্রসূতির জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্বদেশ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

Advertisement

ভুক্তভোগী ওই প্রসূতির নাম শাবনুর আক্তার (২২)। তিনি কিশোরগঞ্জের মিটামইন উপজেলার আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের কদমচাল গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের স্ত্রী।

খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মেহেদী হাসান ওই হাসপাতালে যান। এসময় রোগী অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

প্রসূতির বড় ভাই বলেন, ছোটবোন শাবনুর আক্তারকে বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বদেশ হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে সিজারের পর তার একটি মেয়ে শিশুর জন্ম হয়। তারপর হাসপাতালের আবাসিক ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমানের নিকট থেকে জানতে পারি আমার বোনের জরায়ু কেটে ফেলা হয়। তার বোনের সিজার অপারেশন করেছে ডা. মিশুতি রানী ঘোষ। এরপর ঘটনাটি আমি পুলিশকে অবহিত করি। এরপর ডাক্তারের পরামর্শে আমার বোনকে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছি। সেখানে এখন চিকিৎসা চলছে।

Advertisement

এ বিষয়ে স্বদেশ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রসূতির সিজার করার পর জরায়ু সেলাই করার সময় বার বার ফুলে ওঠায় সেলাই করা যাচ্ছিল না। এতে তার রক্তক্ষরণ চলছিল কিন্তু বন্ধ করা যাচ্ছিল না।

ডা. মিশুতি রানী ঘোষ বলেন, অপারেশন শেষে জরায়ুর মুখ সেলাই করার সময় বার বার ফুলে ওঠায় রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। পরে রোগীর অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে তাকে বাঁচাতেই জরায়ু কেটে ফেলতে হয়। এটা ভুল চিকিৎসা নয় বলে তিনি দাবি করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. মো. বুলবুল আহম্মদ জানান, ঘটনাটি সিভিল সার্জনকে অবহিত করা হলে তিনি তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করে দিয়েছেন। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহিন মিয়া জানান, রোগীর স্বজনদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

Advertisement

রাজীবুল হাসান/আরএইচ/এএসএম