আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ নিয়ে এপিপিজি রিপোর্টকে ‘একপাক্ষিক’ বললেন রূপা হক

বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ সম্পর্কিত অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি) প্রকাশিত প্রতিবেদনের তীব্র সমালোচনা করেছেন লেবার পার্টির সংসদ সদস্য রূপা হক। প্রতিবেদনটি ‘একপাক্ষিক’ এবং এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

Advertisement

বাংলাদেশ সফর থেকে ফিরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এ নিয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেন রূপা হক। তার ভিডিও নিজের ভেরিফায়েড এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন তিনি।

হাউস অব কমনসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রূপা হক বলেন, এই শরতে কমনওয়েলথ সম্পর্কিত এপিপিজির নামে বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের একটি একপাক্ষিক বর্ণনা প্রকাশিত হয়েছে, যা মিথ্যা প্রচার করছে। এটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে, যার ফলে যুক্তরাজ্যের সরকারি নীতির বিষয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন>>

Advertisement

যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া উচিত হবে না: রূপা হক ব্রিটিশ এমপি রূপাকে সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস দিলেন প্রধান উপদেষ্টা সিটি মিনিস্টার পদ থেকে টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ

রূপা হক আরও জানান, এপিপিজি রিপোর্টের ‘সরকারি কোনো গুরুত্ব নেই।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাজ্যের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা হাউস অব কমনসে জনসাধারণের উদ্বেগ তুলে ধরেন, যা এপিপিজির মতো বেসরকারি পার্লামেন্টারি গ্রুপের থেকে ভিন্ন।

This Autumn a one-sided account of the Bangladeshi Yunus government surfaced in the name of the APPG for Commonwealth pedalling falsehoods that was widely press-released leading to confusion on UK govt policyI had it confirmed @HouseofCommons that it has zero official relevance pic.twitter.com/zyquj2l9SB

— Rupa Huq MP (@RupaHuq) January 16, 2025

এপিপিজির প্রতিবেদনে ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দেশটি রাজনৈতিক অস্থিরতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার মুখোমুখি হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ইসলামী চরমপন্থিরা আরও শক্তিশালী হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিকে সতর্ক করা হয়েছে যে, অস্থিতিশীলতার কারণে বাংলাদেশ বৈশ্বিক অস্থিরতার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে।

Advertisement

তবে রূপা হকের মন্তব্যে এপিপিজি-র প্রতিবেদন ঘিরে ক্রমবর্ধমান বিতর্ক এবং বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো নিয়ে যুক্তরাজ্যের দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রতিক্রিয়া নিয়ে বিভাজন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

কেএএ/