রাজনীতি

বিরাজনীতিকরণের দুরভিসন্ধি দেখতে চাই না: আসাদুজ্জামান রিপন

সংস্কার কার্যক্রমের নামে বিরাজনীতিকরণের কোনো দুরভিসন্ধি দেখতে চাই না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।

Advertisement

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সংবিধান মেনে গণঅভ্যুত্থান হয় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণঅভ্যুত্থানের পর নির্বাচন হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের পর শ্রীলঙ্কায় নির্বাচন হয়েছে, তিউনিশিয়ায় নির্বাচন হয়েছে। সেসব দেশে কি সংস্কারের নামে বছরের পর বছর সময় নিয়েছে?

তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের শাসন কায়েম হয়েছে, এটাই নিয়ম। সংস্কার হচ্ছে জনগণের শাসন কায়েম করা, জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। সুতরাং সংস্কারের নামে বছরের পর বছর সময়ক্ষেপণ করা, সেটা আমরা চাই না।

Advertisement

দেশের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্কারের নামে বিরাজনীতিকরণের কোনো দুরভিসন্ধি কারো মাথায় যেন না থাকে। আমরা তা দেখতে চাই না। সেজন্য গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে আমাদের দৃষ্টি রাখতে হবে।

আরও পড়ুন

ভ্যাট না বাড়িয়ে সরকারকে খরচ কমানোর পরামর্শ বিএনপিরজুলাই ঘোষণাপত্রের রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব নির্ধারণ চায় বিএনপি

অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়ে বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্যই আমরা ১৭ বছর আন্দোলন করেছি। নির্বাচনের জন্যই যেন আবার আমাদের রাস্তায় নামতে না হয়, মাঠে যেন নামতে না হয়, সেটাই বর্তমান সরকারকে ভেবে দেখতে বলব।

নাগরিক সমাবেশে ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ১৬ বছর আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমরা বিএনপির ২৭ দফা এবং গণতন্ত্র মঞ্চের চার দফা নিয়ে ৩১ দফা দিয়েছি। আমরা ৩১ দফা নিয়ে জনগণের কাছে গিয়েছি। জনগণ ৩১ দফা গ্রহণ করেছে। আগামী দিনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের সরকার গঠিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

Advertisement

লেবার পার্টির একাংশের সভাপতি লায়ন ফারুক রহমান বলেন, শেখ মুজিবের ফ্যাসিস্ট কন্যা হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, যদি ভারতের প্রেসক্রিপশন বাস্তবায়ন করতে চান, তাহলে আপনারা গণশত্রুতে পরিণত হবেন।

দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সমবায় দলের সভাপতি নূরে আফরোজা জ্যোতি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আরিফা সুলতানা রুমা, আইনজীবী সম্রাট শাহজাহান প্রমুখ।

আরএএস/এএমএ