সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে বয়সসীমা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। টেক জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর ওপর শিশু সুরক্ষা নির্দেশিকা আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
Advertisement
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেতিবাচক প্রভাব থেকে শিশুদের সুরক্ষায় বয়সসীমা নির্ধারণের পদক্ষেপ নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। সরকারের এমন পদক্ষেপের প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দেশটির প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকরা।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দেশটির যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, টেক জায়ান্ট কোম্পানিগুলোর ওপর অন্তর্বর্তীকালীন শিশু সুরক্ষা নির্দেশিকা আরোপ করা হবে। প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারকারীদের জন্য সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণের একটি আইন তৈরি করবে সরকার। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট প্রাবো সুবিয়ান্তোদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে, সরকারের এমন প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানিয়ে দেশটির নাগরিকরা। তাদের মতে, সংবেদনশীল বিষয়গুলোর জন্য একটি দৃঢ় বিধিনিষেধ থাকা উচিত। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা থাকা দরকার। দেশটির এক নাগরিক বলেন, আমার মনে হয় সরকারের উচিত টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা। তারা কন্টেট উপভোগ ও তথ্য জানার ক্ষেত্রে সবসময় আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছে, যা খুবই ভালো। কিন্তু শিশুদের জন্য ক্ষতিকর এমন কন্টেটের নেতিবাচক প্রভাব একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। প্রযুক্তি সচেতন ইন্দোনেশিয়ায় ১২ বছরের নিচে প্রায় ৫০ শতাংশ শিশু ইন্টারনেটে আসক্ত। এক জরিপে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন।
Advertisement
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, এক্স, ও টিকটকের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছাড়া জীবন একপ্রকার অসম্ভব। কিন্তু অল্প বয়সী ছেলে-মেয়েদের ওপর এসব মাধ্যমগুলোতে প্রচারিত-প্রকাশিত বিভিন্ন কন্টেন্টের ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাবও পড়ছে। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে, ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করে অস্ট্রেলিয়া। অপ্রাপ্তবয়স্ক ব্যবহারকারীদের নিবন্ধন ঠেকাতে টেক জায়ান্টরা ব্যর্থ হলে জরিমানা গুনতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় দেশটির সরকার।
সূত্র: রয়টার্স
এসএএইচ
Advertisement