সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন মামলা তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে এ তথ্য জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান ও পিবিআইপ্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোস্তফা কামাল। তিনি জানান, বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) জেলগেটে জিয়াউল আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিয়াউল আহসান সাগর-রুনির বাসায় গিয়েছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেছেন, সেদিন সকাল আটটার দিকে ওই বাসায় উপস্থিত ছিলেন তিনি। তখন সাগর-রুনি হত্যা মামলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জিয়াউল আহসানকে নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। এসব বিষয়ে জিয়াউল আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে টাস্কফোর্সের সদস্যরা।
পিবিআই সূত্র জানায়, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্যরা বুধবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলগেটে যান। সেখানে জিয়াউল আহসানকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এর আগে গত সোমবার বিএফইউজের (বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন) সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে রাজধানীর পিবিআই কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন টাস্কফোর্সের সদস্যরা। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
Advertisement
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় এ সাংবাদিক দম্পতি নৃশংসভাবে খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। আর রুনি ছিলেন এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক।
ওই হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন। প্রথমে এ মামলা তদন্ত করেছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চারদিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। গত বছরের ৪ নভেম্বর র্যাবের কাছ থেকে পিবিআই ওই মামলা তদন্তের দায়িত্ব বুঝে নেয়।
এর আগে গত বছরের ২৩ অক্টোবর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তে চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। টাস্কফোর্সকে এ হত্যা মামলার তদন্ত ছয় মাসের মধ্যে শেষ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
টিটি/এমএএইচ/জেআইএম
Advertisement