কোরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম এবং আল্লাহর অন্যান্য নিদর্শনাবলিকে যথাসম্ভব সম্মান করা, কোনোভাবে যেন এগুলোর অসম্মান না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখা, সতর্ক থাকা আমাদের কর্তব্য। আল্লাহ তাআলা বলেন,
Advertisement
ذٰلِکَ وَمَنۡ یُّعَظِّمۡ شَعَآئِرَ اللّٰهِ فَاِنَّهَا مِنۡ تَقۡوَی الۡقُلُوۡبِ
এটাই আল্লাহর বিধান এবং কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলিকে সম্মান করলে এটাতো তার অন্তরের তাকওয়ারই বহিঃপ্রকাশ। (সুরা হজ: ৩২)
মোবাইল ওয়ালপেপারে কোরআনের আয়াত, আল্লাহ তাআলার নাম বা কোন জিকির থাকলে ক্ষেত্রবিশেষে এগুলোর অসম্মান হওয়ার আশংকা থাকে। কারণ মোবাইল অনেক সময়ই সম্মানের সাথে ব্যবহার করা হয় না। যত্রতত্র রাখা হয়। মাঝে মাঝে টয়লেটেও নেওয়া হয়। চার্জ দেওয়ার প্রয়োজনে মেঝেতেও রাখতে হয়।
Advertisement
তাই মোবাইল ওয়ালপেপার হিসেবে কোরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম, জিকিরযুক্ত ছবি সেট করা ঠিক নয়।
মোবাইলে কোরআন-এ্যাপ থাকলে তা কি টয়লেটে নেওয়া যাবে?
কোরআনের আয়াত, হাদিস বা আল্লাহর নাম ইত্যাদি সম্মানিত কোনো লেখা দৃশ্যমান অবস্থায় টয়লেটে নিয়ে যাওয়া নাজায়েজ। লেখা দৃশ্যমান না হলে সমস্যা নেই। বর্তমানে অনেকের মোবাইলে কোরআন পড়ার এ্যাপ থাকে বা কোরআন তিলাওয়াতের অডিও থাকে। মোবাইলে এ রকম কোরআন থাকলে তা যদি দৃশ্যমান না থাকে, তাহলে ওই মোবাইল নিয়ে টয়লেটে যাওয়া নাজায়েজ হবে না।
একইভাবে কোরআনের আয়াত, হাদিস লেখা কাগজ ভাজ করা অবস্থায় পকেটে থাকলে যেহেতু লেখা দৃশ্যমান থাকে না, তাই এ অবস্থায় টয়লেটে যাওয়া নাজায়েজ হবে না।
Advertisement
কারো গলায় ঝোলানো লকেটে যদি আল্লাহর নাম থাকে এবং তা দৃশ্যমান থাকে, তাহলে টয়লেটে যাওয়ার আগে লকেট খুলে পকেটে নিয়ে নিতে হবে অথবা লকেট যেন ঢেকে থাকে এই ব্যবস্থা করতে হবে।
পকেট যদি পাতলা কাপড়ের হয়, ভেতরের লেখা দেখা যায়, তাহলে আয়াত, হাদিস বা আল্লাহর নাম লেখা কাগজ বা লকেট কোনো কাপড় বা কাগজে মুড়িয়ে রাখবে যেন টয়লেটে এই সম্মানিত লেখাগুলো দৃশ্যমান না থাকে।
তবে সব ক্ষেত্রেই সুযোগ থাকলে এ সব জিনিস টয়লেটে না নিয়ে যাওয়াই উত্তম।
ওএফএফ/জেআইএম