বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশে আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই, নেই মানুষের বাকস্বাধীনতা, নেই ভোটাধিকার, নেই মানবাধিকার। দেশে আছে শুধু গুপ্তহত্যা, খুন, ধর্ষণ, দুর্নীতি-দুঃশাসন, ভোট ডাকাতি আর কেন্দ্র দখল।এই হচ্ছে এ অবৈধ সরকারের অবস্থা। সরকারের মুখপাত্রগং মুখে বললেও সরকারের ভিতরের অবস্থা অন্তঃস্বার শূন্য। বুধবার বিকেলে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।ডা. শাহাদাত আরও বলেন, সরকার একটি ঘটনাকে আড়াল করার জন্য অন্য একটি ঘটনাকে মঞ্চস্থ করেন। আমরা দেখেছি, যখন ৯০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয় তখন সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যা হয়। এতে ৯০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ধামাচাপা পড়ে।পরবর্তীতে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন বাবুর রেলের দুর্নীতি করে বস্তাভর্তি টাকাকে কাঁঠাল বানানো হয়। তখন সেই মুহূর্তে পরিকল্পিতভাবে বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক সিলেটের নেতা এম ইলিয়াছ আলীকে গুম করা হয়। ফলে দেশব্যাপি ইলিয়াছ আলীর গুমের প্রতিবাদের মিছিল মিটিং এ রেলের দুর্নীতি দামাচাপা পড়ে।সোনালী ব্যাংকের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি দেশব্যাপি যখন আলোড়ন সৃষ্টি করে তখন রামুর বৌদ্ধমন্দিরে হামলা হয়। পরে দেশব্যাপি বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। ফলে সে সোনালী ব্যাংকের দুর্নীতিও ধামাচাপা পড়ে।ডা. শাহাদাত আরও বলেন, রানা প্লাজার মালিক রানা রবীন্দ্র নাথের জায়গা দখল করে, দুর্নীতির মাধ্যমে রানা প্লাজার মালিক হয়। সেই রানা প্লাজা ধসে ১২শ লোকের প্রাণহানি ও হাজার হাজার শ্রমিক আহত হলেও সেই রানার কোনো ফাঁসি বা কোনো বিচার হয় না। কারণ সেই যুবলীগ নেতা। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ করলে সাতখুনও মাপ হয়। এছাড়া রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১২৭ কোটি টাকা ডোনেশন দিলেও মাত্র ২৭ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্তরা পেয়েছেন। বাকি ১০০ কোটি টাকা কোথায়? তা দেশে জনগণ প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জানতে চায়।ডা. শাহাদাত বলেন, গুম-গুপ্তহত্যা মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে করতে দেশ এমন পর্যায় চলে গেছে ছেলে বাবার লাশ খুঁজে পায় না কবর দেয়ার জন্য, বাবা পায় না ছেলের লাশ দাফনের জন্য। তিনি বলেন, ১৯৮৬ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছিলাম সে সময় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচার এরশাদ পতনের ডাক দিয়েছিলেন। সেইদিন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কোনো আপোস করেন নাই, তিনি শহীদ ডা. মিলন, মোজাম্মেল, জিহাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করেন নাই।চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী মুহাম্মদ সিরাজ উল্লাহর সভাপতিত্বে সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও জিয়াউর রহমান জিয়ার যৌথ সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মুহাম্মদ আলী, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, সাবেক ছাত্রনেতা আরইউ চৌধুরী শাহীন, এসএম সালাহ উদ্দিন, মুহাম্মদ মহসিন, বাবু টিংকু দাশ, কামরুল ইসলাম, নগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাবেক ছাত্রনেতা হামিদ হোসেন, সালাহ উদ্দিন কায়সার লাভু, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. জসিম, বিএনপি নেতা হাজী নবাব খান, এমআই চৌধুরী মামুন, জাকির হোসেন, ছাত্রনেতা ছাদেকুর রহমান রিপন, মোস্তাকিম মাহমুদ প্রমুখ।জীবন মুছা/বিএ
Advertisement