খেলাধুলা

টানা তৃতীয়বার বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত সালাউদ্দিন

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বহুল আলোচিত নির্বাচনে টানা তৃতীয়বার বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিন। ২০০৮ সালে প্রথম বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হন সালাউদ্দিন। এরপর টানা দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়েছিলেন ২০১২ সালে। এবার টানা তৃতীয়বার নির্বাচিত হলেন তিনি। অন্য কথায় বাফুফে সভাপতি পদে হ্যাটট্রিক করলেন সালাউদ্দিন।

Advertisement

শনিবার রাজধানীর র‌্যাডিসন হোটেলে বাফুফে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে সকাল ১১টায় শুরু হয় বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। শেষ হয় ১টায়। এরপর দুপুর ২টা থেকে শুরু হয় নির্বাচন। শেষ হয় বিকাল ৫টায়। নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১৩৪ জন। শতভাগ ভোটই কাস্ট হয়েছিল। 

সর্ব প্রথম গণনা করা হয় সভাপতি প্রার্থীর ভোট। গণনার সময় একটি ভোট বাতিল করে দিতে হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। বাকি ১৩৩ ভোটের মধ্যে কাজী সালাউদ্দিন পেয়েছেন ৮৩ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বাঁচাও ফুটবল পরিষদের প্রার্থী কারমরুল আশরাফ খান (পোটন) পেয়েছেন ৫০ ভোট। এছাড়া বাফুফে সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন কাজী নাবিল আহমেদ, বাদল রায়, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি এবং তাবিথ আউয়াল। 

দুই হেভিওয়েট প্রার্থী সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার কারণে এবার বাফুফে নির্বাচন ছিল সবচেয়ে বেশি আলোচিত। বিশেষ করে মোহামেডান ক্লাব এবং শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব কোমর বেধে নেমেছিল কামরুল আশরাফ খানের পক্ষে। শেষ দিকে এসে নির্বাচনের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে হুমকি-ধামকি এবং নিরাপত্তা হুমকির কারণে।

Advertisement

সম্মিলিত পরিষদের প্রার্থী এবং ভোটারদেরকে কোন কোন মহল থেকে ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগও ওঠে। শুধু তাই নয়, এবারের বাফুফে নির্বাচনে প্রচুর অর্থের ছড়াছড়ি হয়েছে বলেও অভিযোগ। তবুও শেষ পর্যন্ত কাজী সালাউদ্দিনকে হারাতে পারলো না বাঁচাও ফুটবল পরিষদ।

২১ সদস্যের নির্বাহী কমিটিতে মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল সভাপতি পদ। কেননা ফিফা আইনে সভাপতিই হচ্ছেন ফুটবল ফেডারেশনের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। নির্বাচনের মাঝপথেই সভাপতি পদে সরে দাঁড়ান দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম রাব্বানী হেলাল এবং নুরুল ইসলাম নুরু। হেলাল সমর্থন করেছেন সালাউদ্দিনকে এবং নুরু সমর্থন করেন পোটনকে। নির্বাচনে হেরে গেলেও ফুটবলের সাথে থেকে সালাউদ্দিনকে সকল রকমের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন পোটন। উৎসবমুখর পরিবেশে বাফুফে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন পোটন। নির্বাচনে ১০০ ভাগ ভোট জমা পড়েছে যেটা একটি ইতিহাসও বটে।আরআর/এআরএস/এবিএস