ব্যাঙ্গালুরুর যে উইকেট দেখলাম, তাতে মনে হচ্ছে এই উইকেটে স্পিন নেই। স্পিনাররা ভালো করার সম্ভাবনা কম। আমাদের ব্যাটসম্যানরা শেষ দিকে যেভাবে খেলেছে, প্রথম থেকে যদি এভাবে খেলতে পারতো, তাহলে আরও রান বাড়তো। সে হিসেবে আমি মনে করবো অস্ট্রেলিয়ার সামনে এই উইকেটে ১৫-২০ রান কম হয়ে গেছে আমাদের। তামিম না থাকাটা একটা বড় ধাক্কা। তবে, বাকি যারা ব্যাটসম্যান ছিল, প্রথম থেকে তারা যদি আরেকটু মারমুখি হতো তাহলে, আরও রান তোলা সম্ভব ছিল।মোহাম্মদ মিঠুনের প্রয়োজন ছিল আরেকটু ক্যারি করা। সাকিবও আরেকটু মারমুখি হয়ে খেলতে পারতো। তারা যদি মারমুখি হতে পারতো, তাহলে এই ১৫-২০ রানের আক্ষেপ হয়তো থাকতো না। তবে শেষ মুহুর্তে এসে মাহমুদুল্লাহ অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। বাছাই পর্বে মাহমুদুল্লাহ হয়তো এতটা ভালো করতে পারেনি। তবে, এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে আবারও ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিল সে। টি-টোয়েন্টিতে যে মাহমুদুল্লাহ বেশ পরীক্ষিত, আবারও প্রমাণ হলো।তবুও ১৫৬ রান কম না। এই রান নিয়েও জেতা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে আমাদের পেসারদেরই ভালো করতে হবে। প্রথমেই বলেছি, স্পিনারদের জন্য খুব বেশি কিছু সম্ভবত এই উইকেটে নেই। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে স্পিনেই নাকাল হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এ কারণে আমরা স্পিন আধিপত্য দিয়ে দল সাজিয়েছি। সাকলাইন, শুভাগত, মাহমুদুল্লাহ কিংবা সাকিব। এদের চেয়ে পেসাররাই সবচেয়ে ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে।আমাদের আসলে তাকিয়ে থাকতে হবে মুস্তাফিজের দিকেই। বাংলাদেশকে জিততে হলে মুস্তাফিজেরই কিছু করতে হবে। তার এই চার ওভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মুস্তাফিজ যদি প্রথমেই একটা ধাক্কা দিতে পারে, তাহলে আমাদের ভালো কিছু করার সম্ভাবনা আছে। প্রথম ৫ কিংবা ৬ ওভারেই মধ্যেই একটা বড় ধাক্কা দিতে হবে। এই ধাক্কাটা না এলে জেতা সম্ভব হবে না। মুস্তাফিজের সঙ্গে আল-আমিনকেও জ্বলে উঠতে হবে। তবেই আমরা জিততে পারবো।লেখক: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক।আইএইচএস/এবিএস
Advertisement