প্রথমে জানা গিয়েছিল শুধুমাত্র আরাফাত সানির অ্যাকশন অবৈধ। পেসার তাসকিন আহমেদকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এবার আইসিসি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, শুধু আরাফাত সানিই নয়, তাসকিন আহমেদের অ্যাকশনও অবৈধ। সানির সঙ্গে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেলো তাসকিন আহেমেদেরও।আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে আরাফাত সানি এবং তাসকিন আহমেদের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার ফল জানিয়ে সংবাদই প্রকাশ করে। যেখানে জানানো হয়েছে, বোলিং অ্যাকশনে ক্রুটি থাকায় সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে আরাফাত সানি এবং তাসকিন আহমেদকে। গত ১২ মার্চ চেন্নাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেকানিক্যাল সেন্টারে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছিলেন সানি। তার দুই দিন পর, ১৫ মার্চ পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদও। এক সপ্তাহ পর শনিবার তাদের উভয়েরই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। আর তাতেই নিষিদ্ধ হলেন এ দুই তারকা। সানির পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণায় এক সপ্তাহ সময় নেয়া হলেও তাসকিনের ফলাফল পাওয়া গেল মাত্র চার দিনের মাথায়। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী একজন বোলার তার কনুই সর্বোচ্চ ১৫ ডিগ্রী পর্যন্ত বাঁকাতে পারবেন। চেন্নাইয়ের পরীক্ষায় জানানো হয়, আরাফাত সানির অধিকাংশ বল করার সময়ই তার হাত ১৫ ডিগ্রীর বেশি বেঁকে যায়। তবে তাসকিন আহমেদের কিছু অ্যাকশনের বল ১৫ ডিগ্রীর বাইরে চলে যায়। তবে তাসকিনের ওই নির্দিষ্ট ডেলিভারি নিষিদ্ধ না করে তাকে পুনরায় অ্যাকশন শুধরে পরীক্ষা দেওয়ার কথাই শ্রেয় ভেবেছে আইসিসি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে পারবেন তারা দু’জন। আইসিসির এ সিদ্ধান্তে এ দুই খেলোয়াড়ের পরিবর্তে অন্য খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে দু’জনকে পরিবর্তণ করার জন্য আইসিসির ট্যাকনিক্যাল কমিটির কাছে আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। উল্লেখ্য, বাছাই পর্বে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ এবং স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন দুই অনফিল্ড আম্পায়ার এস রবি এবং রড টাকার। এরপর দিনই আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ তোলে আইসিসি। আরটি/আইএইচএস/এবিএস
Advertisement