পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারলাম, সরকার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার চিন্তা-ভাবনা করছে। বর্তমানে যার কোনো বয়সের সীমারেখা নেই। এটা করা কোনোক্রমেই সমীচীন হবে না। সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্মকমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. সা`দত হুসাইনও বলেছেন, বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে বয়সের সীমাকে সমর্থন করেন না। কারণ, অতীতে নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশনের সময় বয়স ৪-৫ বছর কমিয়ে প্রকৃত জন্ম তারিখ না লিখে ইচ্ছামতো একটি জন্ম তারিখ এমনভাবে লেখা হতো, যাতে কোনো শিক্ষার্থী ১৪-১৫ বছর বয়সে এসএসসি পাস করতে পারে। বর্তমানে সরকার জন্মনিবন্ধন পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করায় সব ক্ষেত্রে প্রকৃত জন্ম তারিখ লিখতে হয় এবং ৬ বছর বয়সে শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তির সরকারি নির্দেশ থাকায় অর্থাৎ ৬ বছর বয়সে প্লে বা শিশু শ্রেণিতে ভর্তি হলে এসএসসি পাস হয় ১৮ বছর বয়সে। এমতাবস্থায় কোনো শ্রেণিতে ফেল না করলেও সেশনজটের কারণে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করতে ২৭-২৮ বছর বয়স হয়ে যায়। এজন্য সরকারি চাকরিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায় না। তাই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সই ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে। এমনকি এই দাবি জাতীয় সংসদেও উত্থাপিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের বয়স ৩৫ বছর করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা বোধগম্য নয়। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেশের আপামর জনসাধারণের কথা ভেবে অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি। লেখক: বিএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি।এসইউ/এমএস
Advertisement