ফিচার

সাইকেল চালালে আত্মবিশ্বাস বাড়ে

পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব সাইকেল দিবস’। ২০১৮ সালের আগে এ দিবস নিয়ে কোনো আলোচনা ছিল না। পরিবেশের কথা চিন্তা করেই ২০১৮ সালের ৩ জুন দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। উন্নত দেশের মধ্যে বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, জাপান, নরওয়ে, জার্মানি, ডেনমার্কের মতো দেশগুলোয় সাইকেলের অনেক চাহিদা আছে।

Advertisement

কোনো কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধানও সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাতায়াত করেন। এতে দূষণের হাত থেকে মুক্তি পাচ্ছে পরিবেশ। মানুষের স্বাস্থ্যর হচ্ছে উন্নতি।

কর্মব্যস্ততায় নিয়মিত শরীরচর্চার প্রতি মনোযোগ নেই বেশিরভাগ মানুষের। সকালে হাঁটতে বের হওয়ার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় সেটিও হয়ে ওঠে না। তবে আপনি যদি ব্যায়ামের পরিবর্তে নিয়মিত সাইকেল চালানোর অভ্যাস করেন, তাহলে ব্যায়াম কিংবা হাঁটার অভ্যাস কমলেও পাবেন উপকার।

আরও পড়ুন: নার্সিংয়ে যুক্ত হওয়ার উপায়

Advertisement

এদিকে মানসিক হতাশা থেকে বের হতে সাইক্লিং করতে পারেন। প্রকৃতির মাঝে সাইকেল চালালে এন্ডোরফিনস ও অ্যাড্রিনালিন হরমোন নিঃসৃত হয়। যার ফলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নিয়মিত যারা সাইকেল চালান, তাদের কাছে এটি মেডিটেশনের মতো কাজ করে। মনোসংযোগও বেড়ে যায়। আর ফিজিকাল অ্যাংজাইটি কমে গেলে রাতে ঘুম হয় উপভোগ্য।

এছাড়া ওজন কমাতে চান কিন্তু শরীরচর্চা করার সময় পাচ্ছেন না। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত সাইকেলে করে স্কুল, কলেজ কিংবা অফিসে যাতায়াত করলে বাড়তি ব্যায়ামের প্রয়োজন নেই। কৈশোরের দিনগুলো হয়তো ফিরে আসবে না। কিন্তু শরীর ঠিক রাখতে নিয়মিত সাইকেল চালালে স্বাস্থ্যর উন্নতি হবেই। নিয়মিত এক ঘণ্টা সাইকেল চালালে প্রায় ৫০০ ক্যালোরি ওজন কমানো সম্ভব। পাশাপাশি ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকিও কমে যায়, হার্ট থাকে সতেজ।

সাইকেল চালানোয় যে পরিশ্রম করতে হয়, এতে শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণ অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। তখন শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়া দ্রুত চলতে থাকে। ফলে ফুসফুস ভালো থাকে ও কার্যক্ষমতা বাড়ে। সাইকেল চালালে পায়েরও ব্যায়াম হয়। প্রতিদিন সাইকেল চালালে পায়ের পেশিতে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে। এতে পায়ের জোর বাড়ে এবং বার্ধক্যের সঙ্গে হাঁটুতে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দেয় না।

আরও পড়ুন: হারিয়ে যাওয়া শৈশবের খেলাধুলা

Advertisement

করোনার সময় সবচেয়ে বেশি যে যানটির কদর বেড়েছিল, সেটি হচ্ছে সাইকেল। কাজ সহজ করার পাশাপাশি এটি মানুষের সুস্বাস্থ্যের সঙ্গী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। মোটরসাইকেল বা চার চাকার গাড়ির পরিবর্তে সাইকেলকে সঙ্গী করলে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। তাই তো দিন দিন বাড়ছে সাইকেলের চাহিদা।

এসইউ/এএসএম