সাহিত্য

মর্মর শব্দ এবং বিষাদের নোনতা জল

আনিস ফারদীন

Advertisement

মর্মর শব্দ

পায়ের নিচের শুকনো পাতার মর্মর শব্দহকচকিয়ে যাই এক অজানা নীল আতঙ্কে;সামনে ভেসে আসে কতক অযাচিত শব্দমৃত্যু, স্তব্ধতা আর জীবনের নীলিন সময়।

কত সবুজ, প্রাণবন্ত ছিল শুকনো এ পাতারাঅথচ সময়ের ঘূর্ণিপাকে আজ ক্লান্ত তারা;সবুজ পেয়েছে লাল, হলুদের বিমর্ষ আবহমৃত আর দগ্ধ ক্ষত সবুজ প্রাণবন্ত এ শরীরে।

Advertisement

যারা বাতাসের আবহে দুলতো সময়-অসময়েগাইতো হৈ-হুল্লোড়ে জীবনের সমস্ত রঙিন গান;আনমনে অগোচরে বাঁধতো রাজ্যের সব স্বপ্নআজ তারা যে ঝরে পড়েছে একান্ত অনিচ্ছায়।

তাই আঁতকে উঠি, পাতাদের ঝরে পড়ার শব্দেভেবে যাই আনমনে নিষ্ঠুর পাতার অমোঘ মৃত্যুকে;পাতাদের মতো অসময়ে ঝরে পড়েছে কত জীবনকবে যে পাতাদের মতো চলে আসে আমারও ডাক!

****

বিষাদের নোনতা জল

Advertisement

জীবনের হিসেব করতে করতে ক্লান্ত মানুষবিষাদের নোনতা জল এসে লাগে জিহ্বায়,বিষাদ স্বাদে শুকিয়ে আসে গলা বার বার;খকখক কাশিতে আবার শুরু হয় হিসেবতবু জগতের সব হিসেবে থেকে যায় অমিল।

নাওয়া-খাওয়া সব ভুলে গিয়ে চলে হিসেবদিন যায়, আবছা অন্ধকারে ঘনিয়ে আসে রাত;তারায় তারায় ঠাসা থাকে আকাশ, স্বর্গলোক নক্ষত্র আপন আলোয় ভাসায় শহর, নগরতবু অন্ধকার ঠেকে, নিকষ কালো অন্ধকার।

দোজখের আগুনে পুড়ে ছারখার হয় চাওয়াগুলোছাইচাপা আগুনে নিঃশেষ হয় সব, বাড়ে যন্ত্রণাপাপের হিসেবের পাল্লা ক্রমশ ভারী হতে থাকেদুর্বাক ঘূর্ণিতে এলোমেলো হয় আকাশ-বাতাসজীবনের হিসেব মেলে না, অমিল থেকে যায় সব।

এসইউ/এএসএম