খেলাধুলা

ম্যাথিউজের মুখে মুস্তাফিজ বন্দনা

সময় কত দ্রুতই না বদলে যায়! ২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে শ্রীলংকার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ওই সময় মুস্তাফিজ নামে কোন ক্রিকেটারকে লংকানরা তো দূরে থাক, বাংলাদেশের মানুষও তো জানতেন না। তার নামই শুনেনি তখন কেউ। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপের ওই ম্যাচে পরাজিত দলের নাম বাংলাদেশ।এক বছরেরও কম সময় পর রোববার আবারও মুখোমুখি বাংলাদেশ-শ্রীলংকা। এবার এশিয়া কাপের ম্যাচে। ফরম্যাট টি-টোয়েন্টি। দুই বছর আগে ঢাকা থেকে এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপটা জিতে নিয়ে গিয়েছিল শ্রীলংকাই। রোববারের এই ম্যাচটি যখন মাঠে গড়ালো, তখন দু’দলে আকাশ-পাতাল পরিবর্তন। শ্রীলংকা দল থেকে হারিয়ে গেছে কয়েকটি বড় বড় নাম। একটা অন্তর্বর্তীকালীন সময় পার করছে তারা। আর বাংলাদেশ এই এক বছরে হয়ে উঠেছে দুর্ধর্ষ, দুর্দমনীয়। এর মধ্যে এই দলটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমান নামে এক ক্রিকেট রত্ন।আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর এই প্রথম শ্রীলংকার মুখোমুখি হলেন মুস্তাফিজ। বাংলাদেশে উদিত ক্রিকেটের আকাশের এই নক্ষত্রের খবর পৌঁছেছে শ্রীলংকায়ও। তারা এতদিন শুনেছে শুধু তার সম্পর্কে। মুখোমুখি মোকাবিলার জন্য হয়তো ভিডিও ফুটেজও বিশ্লেষণ করেছে, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেছে; কিন্তু সরাসরি এই প্রথম তার মুখোমুখি হলো লংকান সিংহরা।তারা হয়তো এটা জানতে পারেনি, মুস্তাফিজ সুন্দরবনের কোলঘেঁষে বেড়ে ওঠা এক ব্যঘ্র। সুতরাং, মিরপুরের শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিংহবাহিনী তার গর্জন শুনবে এটাই স্বাভাবিক। মুস্তাফিজ হতাশ করেননি তার ভক্তদের। প্রথম স্পেলে মাত্র এক ওভার বল করেছিলেন। অধিনায়ক মাশরাফি বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে তুলে রেখেছিলেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টারকে।দ্বিতীয় স্পেলে যখন আক্রমণে নিয়ে আসলেন, তখন শ্রীলংকার হাতে বাকি আছে আর মাত্র ৭ ওভার। এর মধ্যে তিন ওভারই মোকাবেলা করতে হবে মুস্তাফিজকে। ধীরে ধীরে রান রেট বাড়তে থাকার সময় মুস্তাফিজকে মোকাবিলা করাটা যেন লংকানদের জন্য মরার ওপর খাড়ার গাঁ হয়েই দেখা দিল। শেষ পর্যন্তু মুস্তাফিজ চার ওভার বল করে শেষ করলেন ১৯ রান দিয়ে। ১টি উইকেট নিলেও তাকে মোকাবিলা করতে যে হিমশিম খেতে হয়েছে লংকানদের সে কথা অনায়াসেই স্বীকার করে নিলেন লঙ্কান দলনেতা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ।রোববার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলংকার অধিনায়ক বাংলাদেশের পেস সেনসেশনের প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা গোপন রাখতে পারেননি। তিনি নিজেও মুস্তাফিজের মোকাবিলা করেছিলেন। ৭ বল খেলে মাত্র ৫ রান নিতে পেরেছিলেন। বাংলাদেশের কাটার মাস্টার সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মুস্তাফিজ নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের সেরা বোলার। ওকে বোঝা মুশকিল। বিশেষ করে এই ধরনের উইকেটে বল যেখানে গ্রিপ করে, ওর বোলিংয়ে ব্যাটসম্যানদের কাজ আরও কঠিন হয়ে যায়। তার স্কিল লেভেল ব্রিলিয়ান্ট। বাংলাদেশের জন্য সে অসাধারণ আবিষ্কার।’ আইএইচএস/আরআইপি

Advertisement