একুশে বইমেলা

একুশে বইমেলা: ভিন্নতর অভিজ্ঞতার মাস

মোহাম্মদ রায়হান

Advertisement

দরজায় কড়া নাড়ছে অমর একুশে বইমেলা ২০২৩। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বইমেলার ধ্বনি পৌঁছবে সারাদেশে। লেখক, প্রকাশক, পাঠক আর দর্শনার্থীরা মুখিয়ে আছেন বইমেলা প্রাঙ্গণের জন্য। আরেক দল অপেক্ষা করছেন অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য; তারা বইমেলার বিক্রয়কর্মী।

প্রতিটি স্টল ও প্যাভিলিয়নে খণ্ডকালীন বিক্রয়কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো। মেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবে কাজ করেন তারা। কেবল পয়সা উপার্জনই মুখ্য নয়; বইমেলায় কাজ করার কারণে আছে কিছু উপকারিতাও।

নানা-প্রাণের মিলন ঘটেবইমেলাই একমাত্র স্থান, যেখানে লেখক, পাঠক, বিপণন ও বিনিয়োগকারীদের মিলন ঘটে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত নানা পেশার মানুষ দেখা যায়। এই দেখা থেকেই শেখা হয় ভিন্ন কিছু। প্রতি বছর মেলায় এমন কিছু ভিন্নধর্মী চরিত্রের দেখা মেলে, সচরাচর যা লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকে যায়। তা হতে পারে সুপ্ত প্রতিভাও। বিক্রয়কর্মীরা এসব প্রতিভাবান ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়ে যান।

Advertisement

আরও পড়ুন: কেমন হবে ২০২৩ সালের বইমেলা? 

সুযোগ হয় পাঠাভ্যাস গড়ারবইমেলায় কাজ করার অভিজ্ঞতা যে কাউকেই দিতে পারে বইপড়ার প্রবল স্পৃহা। শত শত বইয়ের মাঝে নিজের অবয়বকে দাঁড় করিয়ে বইয়ের বাইরে ভাবার সময় মানুষের খুব কমই হয়। তাই যার বইয়ের প্রতি আগ্রহ একদমই ছিল না; বইয়ের গন্ধে মোহিত হয়ে তিনিও হতে পারেন ‘বইপোকা’।

বাড়বে যোগাযোগের দক্ষতাবিক্রিত বই সম্পর্কে সামান্যতম হলেও জ্ঞান রাখতে হয়। একজন ক্রেতার কাছে তা ছড়িয়ে দিতে গিয়ে ইতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়। পাঠকের হাতে বই তুলে দেওয়ার এ প্রক্রিয়া চলে মাস ধরে। নানা পেশার পাঠকের সঙ্গে কথার আদান-প্রদানের মাধ্যমে যোগাযোগে দক্ষতা বাড়ে বিক্রয়কর্মীর।

তৈরি হয় নতুন সম্পর্কমেলায় কাজ করায় খ্যাতনামা লেখকদের সঙ্গে মেশার সুযোগ পান বিক্রয়কর্মীরা। এতে লেখক ও বিক্রয়কর্মীদের মাঝে সুসম্পর্ক তৈরি হয়, যা পরে ব্যক্তিগত বিকাশে সহায়তা করে। একইভাবে সহকর্মীদের সঙ্গে চমৎকার সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন। পাশাপাশি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যা পরে বেশ কাজে লাগে।

Advertisement

আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সংকটেও কি জমবে বইমেলা? 

সমৃদ্ধ হয় জীবন-বৃত্তান্ত বইমেলায় কাজের বড় উপকারিতা হলো সিভিতে নিজের অভিজ্ঞতা প্রদর্শনের সুযোগ তৈরি হয়। বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা হিসেবে বেশ কাজে দেবে। তাছাড়া যে কোনো কোম্পানিতে মার্কেটিং বিভাগে কাজ করতে এ অভিজ্ঞতা কতটা এগিয়ে নেবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এসইউ/জিকেএস