ধর্ম

পুরুষের নারীর মতো সাজসজ্জা, নবিজি (সা.) যা বলেছেন

পুরুষের নারীর মতো সাজসজ্জা, নবিজি (সা.) যা বলেছেন

ইসলামে পুরুষ হয়ে নারীর বা নারী হয়ে পুরুষের পোশাক পরিধান করা, নারীদের মতো সাজগোজ করা, মেকআপ করা ও অলংকার পরিধান করা নাজায়েজ। নবিজি (সা.) এ রকম কাজ করতে নিষেধ করেছেন এবং এ রকম কাজ যারা করে, তাদের লানত করেছেন।

Advertisement

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লানত করেছেন ওই পুরুষের ওপর যে নারীর সাজ-পোশাক পরিধান করে এবং ওই নারীর ওপর, যে পুরুষের সাজ-পোশাক পরিধান করে। (সুনানে আবু দাউদ)

কোনটি পুরুষের ও কোনটি নারীর সাজ বা পোশাক তা নির্ধারিত হবে প্রত্যেক দেশ ও অঞ্চলের সংস্কৃতি ও রীতিনীতি অনুযায়ী। কোনো অঞ্চলে বা দেশে যে সাজ-পোশাক শুধু পুরুষরাই পরিধান করে, ওই অঞ্চলের নারীরা ওই সাজ-পোশাক পরিধান করা থেকে বিরত থাকবে। যে সাজ-পোশাক শুধু নারীরাই পরিধান করে, পুরুষরা ওই সাজ-পোশাক পরিধান করা থেকে বিরত থাকবে।

কোনো অঞ্চলে কোনো সাজ বা পোশাক কমন হলে অর্থাৎ পুরুষ ও নারীর পরিধানের প্রচলন থাকলে ওই সাজ-পোশাক পুরুষ ও নারী উভয় লিঙ্গের মানুষই পরিধান করতে পারবে।

Advertisement

ছবি: সংগৃহীত

একইভাবে পুরুষ হয়ে নারীর মতো কথা বলা, ওঠাবসা, চলাফেরায় নারীর ভাবভঙ্গি নকল করা গুরুতর গুনাহের কাজ। নারী হয়ে কথাবার্তা, ওঠাবসা, চলাফেরায় পুরুষের ভাবভঙ্গি নকল করাও গুরুতর গুনাহের কাজ।

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পুরুষদের মধ্যে নারীর বেশ ধারণকারীদের ও নারীদের মধ্যে পুরুষের বেশ ধারণকারিণীদের অভিশাপ দিয়েছেন। (সহিহ বুখারি)

তবে কারো জন্মগত প্রকৃতিই যদি এ রকম হয় এবং অনিচ্ছা থাকার পরও তার কথাবার্তা ও চলাফেরায় বিপরীত লিঙ্গের ভাবভঙ্গি চলে আসে, তাহলে সে এ কারণে গুনাহগার বা অভিশপ্ত হবে না। তার চেষ্টা করতে হবে যেন চিকিৎসা ও অনুশীলনের মাধ্যমে এই প্রকৃতি থেকে সে বের হয়ে আসতে পারে।

Advertisement

ওএফএফ/জেআইএম