জাতীয়

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন হলে অপরাধ বন্ধ হবে

জাতীয় সংসদের স্পিকার ও কমনওয়েল্থ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধনের ফলে মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ হবে । এর ফলে দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি সাধিত হবে এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।সোমবার জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় আয়োজিত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।  স্পিকার বলেন, সারাদেশে ব্যবহৃত প্রায় ১৩ কোটি সিমের পুনঃনিবন্ধন একটি বড় ধরনের কর্মকাণ্ড। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে এ বিশাল কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। একটি আন্দোলনের মাধ্যমে এ কর্মকাণ্ডে সারাদেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তিনি আরো বলেন, জনকল্যাণ ও জননিরাপত্তা বিধানের জন্য এ কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদেশের জনগণ যে কোন জনকল্যাণমূলক কর্মকান্ডে স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে। ড. শিরীন শারমিন বলেন, বায়োমেট্রিক সিম রেজিস্ট্রেশনের এই অভিনব উদ্যোগের সাথে জাতীয় সংসদ সচিবালয়কে সম্পৃক্ত করায় তা সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে সহসায় সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। তিনি প্রত্যেক সংসদ সদস্যকে নিজ নিজ এলাকায় বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করে এ কার্যক্রমকে সফল করার আহ্বান জানান। বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, মোবাইল ফোনের অপব্যবহাররোধে এ কর্মসূচি বিশেষ ভূমিকা রাখবে। তিনি একটি সমন্বিত প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচির মাধ্যমে এ কর্মকাণ্ড সফল করার আহ্বান জানান। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ মোছাঃ মাহবুব আরা গিনি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফয়েজুর রহমান এবং সংসদ সচিব মো. আবদুর রব হাওলাদার  উপস্থিত ছিলেন। এইচএস/এসকেডি/আরআইপি

Advertisement