একুশে বইমেলা

পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নে মানের দিকে খেয়াল রাখতে হবে

ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বলেছেন, পাঠ্যপুস্তকের মান একটি দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলা একাডেমি এ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করে জাতীয় শিক্ষা ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখেছে। ভবিষ্যতে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের ক্ষেত্রে সংখ্যার পাশাপাশি মানের দিকটিও বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। সোমবার বিকেল ৪টায় অমর একুশে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলা একাডেমির হীরকজয়ন্তী : পাঠ্যপুস্তক রচনা, অতীত থেকে বর্তমান শীর্ষক আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুব্রত বড়ূয়া। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন রতন সিদ্দিকী, মলয় ভৌমিক ও নূরুন্নাহার মুক্তা। সুব্রত বড়ূয়া তার প্রবন্ধে বলেন, বাংলা একাডেমি বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তক চাহিদা পূরণে বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। দেশের বিভিন্ন সময়ের  প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের শিক্ষা-পরিস্থিতি বিবেচনা করলে আমরা দেখব একাডেমির বিপুল পরিমাণ পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও প্রকাশ করেছে। তবে পাঠ্যপুস্তক কেবল শ্রেণি কক্ষের নির্দিষ্ট পরিসরে অনুসরণের জন্য রচিত হয় না।তার পরিসর ব্যাপক হওয়া প্রয়োজন যাতে অধীতব্য বিষয়ের সার্বিক ব্যাপ্তি তাতে প্রতিফলিত হয়। অন্যদিকে এসব পাঠ্যপুস্তক যারা ব্যবহার করবেন সেই শিক্ষার্থীদের কথাও রচয়িতাকে বিশেষভাবে মনে রাখতে হয় যেন ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনও তাতে মিটতে পারে। আলোচকবৃন্দ বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলা একাডেমি পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও প্রকাশকে যে গুরুত্ব দিয়ে আসছে তার মূল লক্ষ্য ছিল দেশের ক্রমবর্ধমান শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক চাহিদা নিরসন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে একাডেমি ছাড়াও পাঠ্যপুস্তক প্রকাশের অনেক বিকল্প সংস্থা তৈরি হয়েছে, যার ফলে একাডেমিকে বিশ্বমানের সুনির্বাচিত পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও প্রকাশের দিকে জোর দিতে হবে।  সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রবীর সরদারের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী’-এর শিল্পীবৃন্দ। সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী ফাতেমা-তুজ-জোহরা, ইয়াকুব আলী খান, ইয়াসমিন মুশতারী, লীনা তাপসী খান, সুমন মজুমদার এবং বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন কেশব সরকার (তবলা), হোসেন আলী (বাঁশি), ফিরোজ খান (সেতার),  মো. আজিজুর রহমান (কী-বোর্ড) এবং বিশ্বজিৎ সেন (মন্দিরা)।এএসএস/এমএইচ/এমএম/এসকেডি/পিআর

Advertisement