জাতীয়

কক্সবাজারকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

কক্সবাজার ভবিষ্যতের জাতীয় অর্থনীতির সুতিকাগার উল্লেখ করে সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুুল কাদের বলেছেন, কক্সবাজার বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাই জাতীয় অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য কক্সবাজারের ব্যাপক উন্নয়ন করা হচ্ছে। কক্সবাজারকে নিয়েই আগামী আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের অভিজাত এক হোটেলে আয়োজিত মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। কক্সবাজারের উন্নয়ন সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী কক্সবাজারের জন্য সরকারের গৃহীত প্রকল্প ও চলমান প্রকল্পের বিষয় তুলে ধরেন।মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারে গভীর সমুদ্র বন্দর স্থাপন, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং ৬০২ কোটি টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ি সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের দিকেই শুরু হবে সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ।মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, কক্সবাজার শহর থেকে শীলখালী পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়কের ৪৮ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি অংশে টেকনাফ পর্যন্ত চলমান কাজের ৪০ শতাংশ মাটি ভরাটের কাজ হয়ে গেছে। ২০১৭ সালের মার্চের দিকে পুরো মেরিন ড্রাইভের কাজ সম্পন্ন হবে।সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, বালুখালী-ঘুমধুম এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের ‘পিজিবিলিটি’র কাজ শেষ হয়েছে। ৪ লেন বিশিষ্ট ২ কিলোমিটারের এ সড়ক নির্মাণ কাজ চলতি বছরেই শুরু হবে। যার নির্মাণ ব্যয় ৮৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এছাড়া তিন পার্বত্য জেলার সঙ্গে ৭০৩ কিলোমিটার সীমান্ত সড়কের কাজও শুরু হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। যার নির্মাণ ব্যয় ৪ হাজার ৫শ কোটি টাকা।চট্টগ্রাম অঞ্চলের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ‘কর্ণফুলী টানেল’র নির্মাণের প্রস্তুতিমূলক কাজ চলছে। সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এ টানেলের কাজ চলতি বছরের মার্চের দিকে শুরু হতে পারে। এছাড়া মীরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত আরও একটি মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের ‘পিজিবিলিটি (সম্ভবনা)’ যাচাইয়ের কাজ চলছে।মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এসব উন্নয়ন সম্পন্ন হলে আগামীতে জাতীয় বাজেটের অর্ধেক অর্থ কক্সবাজার থেকে আসবে।  সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২৮ জানুয়ারিই জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। যোগ্যতার ভিত্তিতে সিলেকশন কমিটিতে নেতা কর্মীরা সন্তুষ্ট না হলে প্রার্থীরা ভোট করবেন। সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর ১৬ ইসিবি প্রতিনিধি ও সরকারি পদস্থ কর্মকর্তা এবং কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।সায়ীদ আলমগীর/এসএস/আরআইপি

Advertisement