বাংলাদেশ পুলিশের জন্য গত বছরটি মোটেও ভাল ছিল না। দেশে-বিদেশে নিন্দার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের। বছরটির শুরুতেই একের পর এক নাশকতা এবং মাঝ সময়ে গুপ্তহত্যার ঘটনায় বেসামাল পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল পুলিশকে। তবে নতুন এ বছরটি যেন ভালো যায় এবং গুপ্তহত্যা ও নাশকতা মুক্ত থাকে এমন প্রত্যাশা করছে পুলিশ। গেলো বছরে ঢাকা মহানগর পুলিশকে (ডিএমপি) বেশ শক্ত পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়েছে। একের পর এক ব্লগার, প্রকাশক, পীরসহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি হত্যা, তাজিয়া মিছিলে হামলা ও বিশেষ করে পুলিশ সদস্য ও বিদেশি হত্যায় বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে ডিএমপিকে। যদিও বেশ কয়েকটি ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করে নিজেদের তদন্ত ও সক্ষমতাকে তুলে ধরার চেষ্টা চলেছে ডিএমপির। নতুন বছরে যেন এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে না হয় সেজন্য বিশেষ পরিকল্পনাও নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মুখে এমনটাই শোনা গেছে। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার জাগো নিউজকে বলেন, সবাই চায় বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ হোক। গুপ্তহত্যাসহ কোনো নাশকতা না ঘটুক। আমরা পেছনে তাকাতে চাই না। সামনে এগিয়ে যেতে চাই। নতুন এ বছরে যেন কোনো অপ্রীতিকর বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, গুপ্তহত্যা না ঘটে সে প্রত্যাশা সবার। আর এমনই পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ডিএমপি। বিগত দিনে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এর অধিকাংশেরই তদন্ত শেষে ডিএমপি মূল হোতাদের শনাক্ত, গ্রেফতার ও বিচারের সম্মুখীন করতে পেরেছে দাবি করে তিনি বলেন, এসব ঘটনা থেকে অনেক কিছু শিখেছে ডিএমপি। আশা করছি বিব্রতকর কিছু ঘটবে না। পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) নজরুল ইসলাম জানান, পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার চেষ্টা বছরের শুরু থেকেই চলেছে। একটি শ্রেণি আন্দোলনের নামে নাশকতা চালিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা করেছে। ওই একই শ্রেণির লোকজনই পুলিশের উপর হামলা করেছে। পুলিশ সদর দফতর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না জানিয়ে তিনি আরো বলেন, কথিত আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় জঙ্গি তৎপরতা, পুলিশের উপর হামলা, গুপ্তহত্যা কোনোভাবেই বরদাশত করবে না পুলিশ। সেভাবেই পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা যায় চলতি বছরটি ভালো যাবে।জেইউ/একে/আরআইপি
Advertisement