লাইফস্টাইল

৫ মিনিটের তোয়ালে ব্যায়ামেই কমবে ভুঁড়ি!

ওজন কমাতে কত ধরনের পদ্ধতিই না ব্যবহার করছেন একেকজন! তবে কোনোটিতেই আশানুরূপ ফল মিলছে না। বিশেষ করে পেটের ভুঁড়ি কমানোর চেষ্টায় আজ এই ব্যায়াম তো কাল অন্যটি করছেন নিশ্ছিই!

Advertisement

আসলে পেটের মেদ কমানো সবচেয়ে কষ্টকর। শরীরের সামগ্রিক ওজন কমলেও পেটের মেদ সহজে কমতে চায় না। এজন্য জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার পাশাপাশি কিছু ব্যায়াম করাও জরুরি।

ঠিক তেমনই পেটের মেদ ঝরানোর কার্যকরী ও সহজ এক পদ্ধতি হলো তোয়ালে টেকনিক। জাপানিজ এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে শুধু পেটের মেদ নয় বরং শারীরিক বিভিন্ন সমস্যারও সমাধান ঘটবে বলে জানা গেছে।

জাপানি রিফ্লেক্সোলজি ও ম্যাসাজ থেরাপিস্ট ডা. তোশিকি ফুকুৎসুড্জি এই জাপানিস টাওয়েল টেকনিক সম্পর্কে সবাইকে জানান। তার মতে, এই ব্যায়াম করে পেটের মেদ সহজেই ঝরানো যায়। এছাড়াও পিঠ মজবুত করতে ও পিঠে ব্যথা কমাতেও উপকারী।

Advertisement

ডা. তোশিকি ফুকুৎসুড্জি জানান, পেলভিক পেশীর ভুল অবস্থানের কারণে পেটে চারপাশে দেখা দেয় মেদ। যা কমাতে সাহায্য করে এই তোয়ালে পদ্ধতি। নিয়মিত এই ব্যায়াম করলে সঠিক স্থানে পেলভিক পেশীর প্রতিস্থাপন হবে।

এর ফলে ব্যক্তি কোমরের অংশ থেকে মেদের অতিরিক্ত স্তর ঝরবে দ্রুত। তবে কী এই জাপানিস টাওয়েল টেকনিক? এটি কীভাবে করবেন জেনে নিন-

প্রথমে পিঠের ওপর ভর দিয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত ও পা টান টান করে ছড়িয়ে রাখুন। এবার নাভির ঠিক নীচে কোমরের অংশে একটি মাঝারি সাইজের তোয়ালে রোল করে রাখুন।

এবার দুই পায়ের গোড়ালি ফাঁকা রেখে দুই বুড়ো আঙুল স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। এদিকে মাথার ওপরে হাত প্রসারিত করুন। হাতের তালু নীচের দিকে থাকবে। ৫ মিনিট এভাবেই থাকুন। তার পর স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরে আসুন।

Advertisement

এই ব্যায়ামে কী সত্যিই পেটের মদে ঝরে?

পেটের মেদ ঝরানো ততটাও সহজ কাজ নয়। আসলে শরীরের মধ্যভাগের মেদ ঝরানো সবচেয়ে কঠিন কাজ। কারণ এই অংশে যে মেদ জমা হয় তা অত্যন্ত জেদি।

পেটে মেদ জমার কারণ হতে পারে আপনার ডায়েট, ব্যায়াম, ঘুমানোর অভ্যাস ও জিন। একইসঙ্গে জীবনযাত্রার মান উন্নত করলে দ্রুত পেটের মেদসহ ওজন ঝরানো সম্ভব।

তোয়ালে ব্যায়ামের মাধ্যমেই যে আপনি পেটের সব চর্বি কমাতে পারবেন তা কিন্তু নয়। এজন্য ডায়টে, শরীরচর্চা ও ঘুমের দিকেও নজর দিতে হবে। নিয়মিত এই ব্যায়াম করলে পিঠে ব্যথা কমবে, এমনকি পেটের মেদও ঝরবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া/ডেইলি মেইল

জেএমএস/এএসএম